শুক্রবার, ১৯শে ডিসেম্বর, ২০২৫, ৪ঠা পৌষ, ১৪৩২

তফসিল ঘোষণা সত্ত্বেও জনগণের স্থির সন্দেহ সময়ের সাথে কাটছে না: আব্দুস সালাম

আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হলেও এর বাস্তবতা এখনও জনগণের মনেও স্পষ্ট নয়—এটাই বলছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম। তিনি জানিয়েছেন, নির্বাচনের তারিখ জানানো সত্ত্বেও নির্বাচনের অনুষ্ঠান নিয়ে জনগণের সন্দেহ ও উদ্বেগের অন্তরায় রয়ে গেছে, যা একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্য একটি অশুভ লক্ষণ। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ গণতন্ত্র পরিষদের আয়োজনে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আব্দুস সালাম উল্লেখ করেন, জনগণের মধ্যে বিশ্বস্ততা কমে যাওয়ার মূল কারণ হলো নির্বাচনের বিষয়ে স্পষ্ট বার্তার অভাব এবং উপদেষ্টা পরিষদের বিভ্রান্তিকর বক্তব্য। তিনি অতীতে দেশ থেকে গণতন্ত্র ও মৌলিক অধিকার হরণ হওয়ার কথা উল্লেখ করে বলেন, গত ১৭ বছর ধরে রাজনৈতিক অবস্থা হয়রানিপূর্ণ ও অস্থিতিশীল। জনগণের মতামতের তোয়াক্কা না করে, প্রতিবেশী দেশের ইশারায় ক্ষমতা পরিবর্তন হয়েছিল। দেশের সংকট নিরসন, স্বার্থ সংহত ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য বিএনপিকে ক্ষমতায় আনা অপরিহার্য বলে তিনি দাবি করেন। তিনি আরও বলেন, জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া এবং বর্তমানে তারেক রহমানের নেতৃত্বের ধারাবাহিকতায় দেশের মূল রাজনৈতিক নেতৃত্ব চলমান। বিএনপি একটি সুস্পষ্ট রোডম্যাপ দাবি করেছে, যাতে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের অধিকার পুনরুদ্ধার সম্ভব। এর পাশাপাশি তিনি শরিফ ওসমান হাদির হত্যাচেষ্টার ঘটনা উল্লেখ করে অভিযোগ করেন, নির্বাচনী পরিবেশ অস্থিতিশীল করতে ফ্যাসিবাদীদের দোসররা ষড়যন্ত্র করছে। তবে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে বিএনপি শান্তিপূর্ণভাবে দেশের শৃঙ্খলা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে কাজ করছে। আর্থিক সংকট, বিনিয়োগের অভাব ও বেকারত্ব বৃদ্ধির বিষয়ে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এই পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে হলে প্রথমত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং আইনের শাসন কার্যকর করে শিগগিরই সমাধান খুঁজে নিতে হবে। বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের স্বার্থে এসব পদক্ষেপ অতি জরুরি। এই আলোচনা সভার সভাপতিত্ব করেন মুক্তার অখন্দ, উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদুসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

পোস্টটি শেয়ার করুন