বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল সম্প্রতি একটি নতুন কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেছে, যেখানে মোট ১৫১ জন সদস্য রয়েছেন। এর মধ্যে অর্ধেকের বেশি সদস্যের নাম প্রকাশ পায়নি, তবে ঘোষণা দেওয়া হয় মোট ১০১ সদস্যের নাম। এই কমিটিতে দেশের प्रमुख নেতা নেত্রীর পাশাপাশি তরুণ প্রজন্মের প্রতিনিধি ও মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে কাজ করে চলা দেশের ইতিহাসের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা আছেন।অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে ঘোষণা করা হয়, এই আহ্বায়ক কমিটির নেতৃত্বে আছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এছাড়া, শহীদ আরাফাত রহমান কোকোও এই কমিটির ২ নম্বর সদস্য হিসেবে রয়েছেন।বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ইশতিয়াক আজিজ উলফাত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়ে বলেছেন, এই নতুন কমিটি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের নেতা তারেক রহমানের অনুমোদন ও নির্দেশনায় গঠন করা হয়েছে। একইসঙ্গে পূর্বে ঘোষিত সকল জেলা ও মহানগর কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন এই কমিটিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের তরুণ নেতাকর্মীদের সক্রিয় ভূমিকা ও দায়িত্বশীলতা আরও বৃদ্ধি করতে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সক্রিয় অংশগ্রহণের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। জাতির ইতিহাসের সত্য ও স্বপ্নকে রক্ষায় এই প্রজন্মের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে আহ্বান জানানো হয়।এর আগে, ২০২৩ সালের ২৪ নভেম্বর, বিএনপি নেতৃবৃন্দ ও ঢাকা-৬ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনের নেতৃত্বে ১০১ সদস্যবিশিষ্ট কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল। এই কমিটিতে ইশরাক হোসেনকে আহ্বায়ক এবং অ্যাডভোকেট কে এম কামরুজ্জামান নান্নু কে সদস্য সচিব হিসেবে নির্ধারণ করা হয়।তাদের মন্তব্যে, রাজনীতির এই সংকটময় মুহূর্তে কিছু মহল সুবিধা পাওয়ার জন্য মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তারা আরও বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম এই দেশের সত্য ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে সচেষ্ট থাকবেন এবং এর মতো অপপ্রয়াসের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকবেন।ইশরাক হোসেন আরও যোগ করেন, ‘শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীরউত্তম ব্যক্তিগত জীবন ঝুঁকি নিয়ে মহান স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র দেন, রণাঙ্গনে নেতৃত্ব দেন। অন্যদিকে, আমার বাবা মুক্তিযোদ্ধা সাদেক হোসেন খোকা সহ লাখো মুক্তিযোদ্ধা দেশের জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন। তারা দেশের স্বাধীকার ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে অকুতোভয় জীবন উৎসর্গ করেছেন।’ এই নতুন কমিটির মাধ্যমে তারা মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও দিকনির্দেশনা জনগণের কাছে তুলে ধরার দৃঢ় প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন।





