শনিবার, ২৭শে ডিসেম্বর, ২০২৫, ১২ই পৌষ, ১৪৩২

জাপানের ইতিহাসে সর্বোচ্চ প্রতিরক্ষা বাজেট অনুমোদন

জাপান সম্প্রতি ইতিহাসে সর্বোচ্চ প্রতিরক্ষা বাজেটের অনুমোদন দিয়েছে। বিশ্বের বৃহত্তম আন্তর্জাতিক শক্তি হিসেবে জাপান তার সামরিক খরচের পরিমাণ লেভেল বৃদ্ধি করছে, যার মাধ্যমে সে নিজের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়ানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এই সিদ্ধান্তটি চীনের সঙ্গে চলমান উত্তেজনার মধ্যে নেওয়া হয়েছে। চলতি সপ্তাহে জাপান মন্ত্রিসভা ২০২৪ অর্থবছরের জন্য ৫৮ বিলিয়ন ডলার বা প্রায় ৬,৫০০ কোটি ইয়েনের প্রতিরক্ষা বাজেট অনুমোদন করে, যা আগের বছরের তুলনায় ৯.৪ শতাংশ বেশি। এটি জাপানের জিডিপির ২ শতাংশে প্রতিরক্ষা খরচের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের উদ্দেশ্যে পাঁচ বছর মেয়াদি প্রবর্তিত পরিকল্পনার চতুর্থ বছরবরাদ্দ। বাজেটের গুরুত্ব দেয়া হয়েছে পাল্টা আঘাতের ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি উপকূলীয় প্রতিরক্ষা শক্তিশালী করার দিকে। এ লক্ষ্যে ভূমি থেকে সমুদ্রে নিখোঁজ ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন ব্যবহারে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের মতে, ২০২৮ সালের মার্চের মধ্যে ‘শিল্ড’ নামে একটি প্রকল্পের আওতায় সমুদ্র উপকূল রক্ষায় নজরদারি এবং প্রতিরক্ষার জন্য বিশাল আকারের ড্রোন, জাহাজ ও উপকূলীয় যান মোতায়েনের জন্য জাপান ১০০ বিলিয়ন ইয়েন ব্যয় করবে। এর ফলে চীনের সাথে চলমান বৈরিতা আরও বৃদ্ধি পাবে বলে বিশ্লেষকদের ধারণা। গত নভেম্বরে, যখন জাপানের প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচি চীনের তাইওয়ান দখলের সম্ভাবনা নিয়ে মন্তব্য করেন, তখন বেইজিং তার বিরোধিতা জোরদার করে। চীন ব্যাপকভাবে জাপানের সামরিক ও মহাকাশ নীতির সমালোচনা করছে, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা নিয়ে অগ্রসর হওয়া মহাকাশ প্রযুক্তি নিয়ে। চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় считает, যে জাপানের মহাকাশে অস্ত্রবহন ও সামরিকীকরণ কার্যক্রমে ইন্ধন দিচ্ছে এবং এতে আরও অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে। গত সপ্তাহে চীনের মুখপাত্র ঝাং শিয়াওগাং অভিযোগ করেন, জাপানের অতীতে আক্রমণাত্মক মহাকাশ নীতি এবং সামরিক বিভ্রান্তির ফলে পার্ল হারবারের মতো পরিস্থিতি আবার বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে, জাপান তার সামরিক সক্ষমতা বাড়াতে প্রতিশ্রুতিশীল, যা ভবিষ্যতে চীন-জাপান সম্পর্কের জটিলতা আরও বাড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে।

পোস্টটি শেয়ার করুন