ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) এর সভাপতি তাসকীন আহমেদ সম্প্রতি প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ-এর সঙ্গে তাঁর সুপ্রিম কোর্টের কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সেই সময় তিনি বাণিজ্যিক আদালত স্থাপনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, যদিও আমাদের অর্থঋণ আদালত এবং বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি আইন-২০০১ রয়েছে, তবে তাদের দূর্বল বাস্তবায়ন এবং সীমিত কার্যক্ষেত্রের কারণে ব্যবসা এবং বাণিজ্য সংক্রান্ত বিরোধের জন্য বিকল্প নিষ্পত্তি এখনো কাঙ্খিত এমনি উন্নতি করেনি। এতে তিনি বলেন, কমার্শিয়াল কোর্ট অর্ডিনেন্স-২০২৫ এর সম্প্রতি অনুমোদন একটি সময়োপযোগী এবং যুগোপযোগী পদক্ষেপ।
তাসকীন আহমেদ আরও উল্লেখ করেন যে, বিশ্বব্যাপী ট্রেন্ডের সঙ্গে তাল মিলিয়ে একটি উন্নত ও দক্ষ ব্যবসায়িক পরিবেশ গড়ে তুলতে কিৗশলগতভাবে ব্যবসায়িক বিরোধ নিষ্পত্তি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তিনি দেশের বর্তমান অস্থিতিশীল রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতির মাঝেও, বাণিজ্যিক আদালত অধ্যাদেশকে সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করার জন্য প্রধান বিচারপতির প্রশংসা করেন। পাশাপাশি, সুপ্রিম কোর্টের সচিবালয় প্রতিষ্ঠা, আদালত কার্যক্রমের ডিজিটাল রূপান্তর এবং সুপ্রিম জুডিশিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট কাউন্সিল গঠনের মতো মহৎ উদ্যোগের প্রশংসাও করেন, যা বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করবে এবং বেসরকারি খাতের আস্থা বাড়াবে।
প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ এই আলোচনায় জোর দেন যে, বাণিজ্যিক আদালত অধ্যাদেশের একটি পূর্ণাঙ্গ আইনে রূপান্তর এবং এর বাস্তবায়নের জন্য দেশি বেসরকারি খাতের সঙ্গে সমন্বিত প্রচেষ্টা চালাতে হবে। এর মাধ্যমে ব্যবসা-বিনিয়োগের সুবিধা আরও বাড়বে। তিনি বলেন, বেসরকারিখাতের জন্য আরো অনুকূল পরিবেশ গড়ে তুলতে, ভবিষ্যতে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট এবং ডিসিসিআই’র যৌথ উদ্যোগ অব্যাহত রাখতে হবে। তিনি ব্যবসায়ী সমাজের স্বার্থ রক্ষায় ঢাকা চেম্বারের গুরুত্বের প্রশংসা করে বলেন, আশা করছি ভবিষ্যতে বেসরকারি খাতের নেতৃত্বে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য উন্নয়নের ক্ষেত্রে ঢাকা চেম্বার আরও ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ডিসিসিআই এর উর্ধ্বতন সহ-সভাপতি রাজিব এএইচ চৌধুরী, সহ-সভাপতি মো. সালিম সোলায়মান এবং মহাসচিব (ভারপ্রাপ্ত) ড. এ কে এম আসাদুজ্জামান পাটোয়ারী।





