ওয়াশিংটন ডিসিতে এখন খুব আলোচনায় রয়েছে কেনেডি সেন্টারের নাম পরিবর্তনের ঘটনা, যেখানে এটি এখন থেকে ‘ট্রাম্প-কেনেডি সেন্টার’ নামে পরিচিত। এই পরিবর্তনের সিদ্ধান্তে ব্যাপক সমালোচনা জন্ম নিয়েছে, প্রধানত ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ওঠা বিতর্কের জন্য। এর আগে, এসব নাম বদলের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে ফেডারেল আইনের দৃষ্টিতে এটি ব্যাহত হতে পারে বলে কেনেডি পরিবারের একজন সদস্য, জো কেনেডি, সতর্ক করেছিলেন। তিনি উল্লেখ করেছিলেন, এটি কেবল কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়া সম্ভব নয়।
জন এফ কেনেডি সেন্টার ফর দ্য পারফর্মিং আর্টসে ট্রাম্পের নাম যুক্ত করার বিষয়টি নিয়ে আদালতেও যায় গেছে। ডেমোক্র্যাট পার্টির আইনপ্রণেতা আরেক সুন্দর, জয়েস বিটি, এই মামলার পক্ষ। তিনি বলছেন, কেন্দ্রের নাম পরিবর্তনের পেছনে সরকারী আইনের ধারা লঙ্ঘন করা হয়েছে। তিনি বলেন, বোর্ডের সভায় বিটি ফোনে যুক্ত ছিলেন, কিন্তু তাকে বাধা দেয়ার মাধ্যমে তার মতামত শুনতে দেয়া হয়নি, যা আইন পরিপন্থী।
গত সপ্তাহে, কেনেডি সেন্টারের পরিচালনা পর্ষদ ভোটের মাধ্যমে নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেয় এবং এটি এখন থেকে ‘ট্রাম্প-কেনেডি সেন্টার’ নামে পরিচিত। উল্লেখ্য, এই কেন্দ্রটিতে ট্রাম্পের বহু ঘনিষ্ঠ ও সমর্থক সদস্য আগে থেকেই কর্মরত। কেনেডি সেন্টারের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বোর্ড অব ট্রাস্টিজে ট্রাম্পের নিয়োগপ্রাপ্ত ৩৪ জন এবং আইনের মাধ্যমে মনোনীত আরও ২৩ জন সদস্য রয়েছেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গে তিনি ব্যাপকভাবে নিজের অনুগামী ও মিত্রদের বোর্ডে নিয়োগ দেন, এমনকি কয়েকজনকে বরখাস্ত করে নিজের প্যানেল গঠন করেন। তার এই পদক্ষেপের ফলে বোর্ড তাকে চেয়ারম্যানের পদে নির্বাচিত করে, এবং তার ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টা রিচার্ড গ্রেনেল বোর্ডের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পান। এই পুরো ঘটনা দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে বিতর্কের সৃষ্টি করেছে।





