চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই থেকে নভেম্বর) বাংলাদেশের জন্য উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে বৈদেশিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। কেন্দ্রীয় অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) গত সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই পাঁচ মাসে দেশের জন্য নতুন ঋণ চুক্তি স্বাক্ষর বা সহায়তার প্রতিশ্রুতি এসেছে প্রায় ১২১ কোটি ৯০ লাখ মার্কিন ডলারের। এটি গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি, যেখানে ছিল মাত্র ৫২ কোটি ২৬ লাখ ৮০ হাজার ডলার।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এই সময়ে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) থেকে ৫৮ কোটি ডলার, বিশ্বব্যাংক থেকে প্রায় দুই কোটি ডলার, আর অন্যান্য দাতা সংস্থা ও দেশগুলো থেকে সাড়ে ৬২ কোটি ডলার প্রতিশ্রুতি মিলেছে। তবে অগ্রসর দেশগুলো, যেমন ভারত, চীন, রাশিয়া ও জাপান, এই পাঁচ মাসে কোন नई ঋণের প্রতিশ্রুতি দেয়নি। এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংক (এআইআইবি) এর কাছ থেকেও ঋণের কোনও প্রতিশ্রুতি আসেনি।
বৈদেশিক ঋণের মূল উৎস হিসেবে উল্লেখ করা হয়, রাশিয়া এই সময়ে ৫৫ কোটি ডলার ঋণ দিয়েছে। এর পরে রয়েছে বিশ্বব্যাংক (৪৩ কোটি ডলার), এডিবি (সাড়ে ৩৩ কোটি ডলার), চীন (সাড়ে ১৯ কোটি ডলার), ভারত (৯ কোটি ডলার), ও জাপান (৮ কোটির বেশি ডলার)।
ইআরডি জানিয়েছে, রাজনৈতিক অস্থিরতা, গণঅভ্যুত্থান, সরকারের পতন এবং প্রশাসনিক অস্থিরতার কারণে গত অর্থবছরে বৈদেশিক ঋণের প্রতিশ্রুতি কম ছিল। তবে বর্তমান পরিস্থিতি উন্নতি হওয়ায় নতুন প্রতিশ্রুতির পরিমাণ বাড়ছে।
অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে, বৈদেশিক ঋণের ঊর্ধ্বমুখী ধারা চলমান রয়েছে। ঋণের পরিমাণের পাশাপাশি, একই সময়ে বাংলাদেশ ঋণের সুদ ও মূলধন হিসেবে প্রায় সমান অর্থ পরিশোধ করেছে—প্রায় ১৮৯ কোটি ডলার, যা গত বছরের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সময়ে, বাংলাদেশ ঋণ গ্রহণের বিপরীতে অর্থ পরিশোধ করেছে প্রায় একই মাত্রার, যেখানে মূলধন ও সুদ বাবদ পরিশোধের মোট পরিমাণ ছিল ১৮৯ কোটি ডলার।





