বিসিবির দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল নতুন উদ্যোগে মনোযোগ দিয়েছেন। তার মূল লক্ষ্য হলো ক্রিকেটের বিকেন্দ্রীকরণ এবং তরুণ প্রতিভাদের খুঁজে বের করার জন্য বিভিন্ন প্রোগ্রাম চালু করা। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী, তিনি দেশের বিভিন্ন বিভাগে পাইলট প্রোগ্রামিং চালুর ঘোষণা দেন। ইতোমধ্যে এই প্রকল্পের অংশ হিসেবে রাজশাহী বিভাগে সফলভাবে ইয়ং টাইগার চ্যালেঞ্জ ট্রফি টুর্নামেন্ট সম্পন্ন হয়েছে। শক্তিশালী উদ্যোগের ধারাবাহিকতায় এবার এই প্রোগ্রাম গড়িয়ে যাচ্ছে বরিশাল বিভাগে। দক্ষিণাঞ্চলের এই বিভাগের ছয়টি জেলা—বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, পটুয়াখালী ও ভোলা—উপকূলীয় এলাকার যুব ক্রিকেটারদের মধ্যে নতুন প্রতিভা খুঁজে বের করতে আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে পিরোজপুরে ইয়ং টাইগার চ্যালেঞ্জ ট্রফি শুরু হবে। এই টুর্নামেন্টের মাধ্যমে অনূর্ধ্ব-১৬ ও ১৮ বয়সের তরুণদের সুযোগ দিচ্ছে ক্রিকেট বোর্ড, যারা বিভিন্ন কারণে নির্বাচনে বাদ পড়েছিলেন, কিন্তু ক্রিকেটের প্রতি তাদের আবেগ এখনও অমলিন। এর অংশ হিসেবে থাকবে প্রশিক্ষণ, প্রতিভা অন্বেষণ এবং বিভিন্ন পর্যায়ের টুর্নামেন্ট। রাজশাহীতে ইতোমধ্যে তানভীর হোসেন দ্বীপ নামে এক প্রতিভাবান বাঁহাতি পেসারকে 발견 করেছেন রফিক আর শান্ত। এই উদ্যোগের প্রধান লক্ষ্য হলো তরুণ ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স উন্নয়ন ও দেশব্যাপী ক্রিকেটের বিস্তার। গতকাল মেহেরাব হোসেন অপি বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি আরও তরুণ প্রতিভাকে খুঁজে বের করতে এবং তাদের জন্য উপযুক্ত সুযোগ সৃষ্টি করতে। ক্রিকেটারদের উৎসাহ দেওয়াটাও গুরুত্বপূর্ণ, তাই আমরা সেখানকার কোচদের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি। তারা যেন নিজেদের এলাকায় ভালো ক্রিকেটার তুলে আনতে পারে, এর জন্য আমরা উৎসাহিত করছি। বরিশাল বিভাগের ছয়টি জেলা—বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, পটুয়াখালী ও ভোলা—এখানে প্রত্যেকটি অঞ্চলের ১৫ জন করে অনূর্ধ্ব-১৮ খেলোয়াড় অন্তর্ভুক্ত থাকবেন। এই টুর্নামেন্টের তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে থাকবেন রফিক, অপি, বেলিম ও শান্তরা। তারা তরুণদের মধ্যে সম্ভাবনা খুঁজে বের করার জন্য কাজ করছেন। উল্লেখ্য, এর আগে রাজশাহীতে গিয়ে স্থানীয় কোচ ও ক্রিকেটারদের নিয়ে কাজ করেছেন রফিক ও শান্তরা। মেহেরাব হোসেন অপি বলেন, ‘আমাদের মূল লক্ষ্য হলো স্থানীয় কোচদের সাহস ও অনুপ্রেরণা দেয়া। তারা যেন নিজেদের এলাকার প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের সঠিকভাবে পরিকল্পনা করে প্রস্তুত করতে পারে। দেশের প্রতিটি অঞ্চল থেকে এই কার্যক্রম চালিয়ে যাবো, শুরু করেছি বিভাগীয় পর্যায় থেকে, ধীরে ধীরে তা পুরো দেশের লক্ষ্যে রূপ নেবে।’’
