গত মৌসুমে অসাধারণ পারফরম্যান্সের জন্য মোহাম্মদ সালাহর কপালে যুক্ত হলো আরও একটি সুবর্ণ সম্মান। এবার তিনি জিতেছেন ইংল্যান্ডের পেশাদার ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (পিএফএ) নিজস্ব বর্ষসেরা পুরস্কার, ছেলে খেলোয়াড় বিভাগে। এটি ছিল তার জন্য বিশেষ একটি অর্জন, কারণ এই পুরস্কার তিনি তিনটি বারই জিতলেন—একই সঙ্গে তিনি ইতিহাসের প্রথম ফুটবলার যিনি এই পুরস্কার তিনবারের জন্য জিতলেন। বর্তমানে ৩৩ বছর বয়সি সালাহের জন্য এই অর্জন সত্যিই গর্বের বিষয়।
গত মৌসুমে লিভারপুলের হয়ে তুমুল সফলতা ছিল সালাহর। তিনি লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে অবদান রেখেছেন। তিনি করেছেন ২৯ গোল, পাশাপাশি অ্যাসিস্ট করেছেন আরও ১৮টি গোলের জন্য। এই অসাধারণ পারফরম্যান্সই তাকে পিএফএ বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার এনে দিয়েছে।
শৈশবে মিসরে ছোটবেলার স্বপ্নের কথা জানতে চাইলে সালাহ স্বাভাবিকভাবেই বলতেন, আমি ফুটবলার হতে চেয়েছিলাম, বিখ্যাত হতে চেয়েছিলাম এবং পরিবারের জন্য কিছু করতে চেয়েছিলাম। তবে তখন বড় কিছু ভাবার সুযোগ ছিল না। বয়স বাড়ার সাথে সাথে স্বপ্নগুলো বড় হতে থাকলো, দৃষ্টিভঙ্গি বদলালো এবং লক্ষ্যগুলো আরও উচ্চতর হয়ে উঠলো।
তাকে এই পুরস্কার জয়ী হিসেবে দেখতে পেয়েছেন তার সতীর্থরা, যেমন লিভারপুলের আলেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ব্রুনো ফার্নান্দেজ, নিউক্যাসেল স্ট্রাইকার আলেকজান্ডার ইসাক, চেলসির কোল পামার ও আর্সেনালের ডেকলান রাইস—তাদের মধ্যে বহুবারই সালাহর যোগ্যতা ও পারফরম্যান্সের প্রশংসা আসে। তবে, এই পুরস্কারটি নিশ্চয়ই সালাহর জন্য অপেক্ষা করে ছিল, কারণ এর আগে তিনি প্রিমিয়ার লিগের বর্ষসেরা খেলোয়াড় এবং ফুটবল রাইটার্স অ্যাসোসিয়েশনের (এফডব্লিউএ) বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কারও জিতেছেন।
আরও এঁদের মধ্যে রয়েছে অ্যাস্টন ভিলার মিডফিল্ডার মরগান রজার্স, যিনি ছেলেদের বর্ষসেরা তরুণ খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতেছেন। নারীদের মধ্যে সেরা ফুটবলারের স্বীকৃতি পান আর্সেনালের স্প্যানিশ মিডফিল্ডার মারিওনা কালদেন্তেই। তার সঙ্গে স্বীকৃতি পেয়েছেন ইংল্যান্ড জাতীয় দলের সাবেক কোচ স্যার গ্যারেথ সাউথগেট, যিনি ফুটবলে তার অবদান ও ইংল্যান্ড দলের সাফল্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার জন্য ২০২৫ সালের পিএফএ মেরিট অ্যাওয়ার্ড পেয়ে থাকেন।
প্রতিভাবান ২৩ বছর বয়সি মরগান রজার্স অ্যাস্টন ভিলার ইতিহাসে পঞ্চম তরুণ খেলোয়াড় হিসেবে এ পুরস্কার পেয়েছেন। এর আগে এই সম্মাননা পেতেন অ্যান্ডি গ্রে, গ্যারিশ, অ্যাশলি ইয়ং ও জেমস মিলনার। রজার্স বলছেন, ভবিষ্যতে আমি চাচ্ছি অন্য মহান খেলোয়াড়দের স্তরে ওঠার, যারা নিয়ে আলোচনা হয়। এজন্য আমি তাদের পথ অনুসরণ করবো। এখনো অনেক কিছু জিতার সময় বাকি রয়েছে বলে তিনি বিশ্বাস করেন।