রবিবার, ২৪শে আগস্ট, ২০২৫, ৯ই ভাদ্র, ১৪৩২

নৌ মহড়ায় ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের সফলতা

ইরানের নৌবাহিনী সমুদ্রে সফলভাবে ভূপৃষ্ঠের লক্ষ্যমাত্রা ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছে তাদের বিভিন্ন ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমে। এই কৃতিত্ব অর্জন হয় বিশেষ করে দীর্ঘ পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ‘নাসির’ ও ‘গাদির’ এবং মাঝারি পাল্লার জাহাজ-বিধ্বংসী ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ‘কাদের’ ব্যবহার করে। উত্তর ভারত মহাসাগর, ওমান সাগর এবং উপকূলীয় এলাকাগুলোর লক্ষ্যমাত্রা সঠিকভাবে আঘাত হয় মহড়ার সময়। মহড়ার ‘ইকতেদার ১৪০৪’ বা ‘সাসটেইনেবল পাওয়ার ১৪০৪’ নামে বিশেষ সামরিক মহড়ার অংশ হিসেবে বিভিন্ন ধরণের নৌক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়। ভূপৃষ্ঠ ও জাহাজ থেকে উৎক্ষেপিত ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর মাধ্যমে এসব লক্ষ্যবস্তুতে সফলভাবে আঘাত হানা হয়। মহড়ায় মূল অংশগ্রহণকারী ছিল গাইডেড মিসাইল ক্রুজার ‘জেনেভেহ’ এবং ডেস্ট্রয়ার ‘সাবালান’, যারা একসঙ্গে ‘নাসির’, ‘গাদির’ ও ‘কাদের’ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। বিশেষ করে ‘কাদের’ হলো মাঝারি পাল্লার জাহাজ-বিধ্বংসী ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র, যা উচ্চ ধ্বংসক্ষমতা এবং লক্ষ্যবস্তুতে সঠিক আঘাত হানার জন্য পরিচিত। অন্যদিকে, ‘গাদির’ হলো দীর্ঘ পাল্লার রাডার-এড়ানো জাহাজ-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র, যা মূলত জাহাজের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত হয় ও উচ্চ নির্ভুলতার জন্য প্রশংসিত। বৃহস্পতিবার শুরু হয় ইরানি সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীর দুই দিনব্যাপী মহড়ার অপারেশনাল পর্ব, যেখানে বিভিন্ন মতিস্তরভুক্ত ইউনিট, উপকূলীয় ও সমুদ্রভিত্তিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাপনা, বিমানের ইউটিলিটি এবং ইলেকট্রনিক যুদ্ধের দিক প্রকাশ পেয়েছে। এই মহড়ার মাধ্যমে ইরানের সামরিক শক্তির বৃহৎ প্রদর্শনী হয়েছে।

অপর দিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নতুন করে ইরানের অবৈধ তেল বিক্রিতে সহায়তাকারী ব্যক্তizione ও কোম্পানিগুলির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বৃহস্পতিবার এই ঘোষণা দেয়, যেখানে তাদের ভাষ্য, চীনভিত্তিক দুটি অপরিশোধিত তেল ও পেট্রোলিয়াম পণ্য টার্মিনাল অপারেটরের বিরুদ্ধে সতর্ক করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত অভিযোগ, তারা যুক্তরাষ্ট্রের মনোনীত ট্যাঙ্কারে লক্ষ লক্ষ ব্যারেল ইরানি অপরিশোধিত তেল আমদানি করেছে। পাশাপাশি, গ্রীক নাগরিক আন্তোনিওস মার্গারাইটিস ও তার সংস্থাগুলোকে ইরানি তেল পরিবহনে জড়িত থাকার জন্য দায়ী করে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপের মর্ম হলো, তেহরানের অস্ত্র কর্মসূচি, সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ও সামরিক অপারেশনে এর আর্থিক সহায়তা বন্ধ করা। তবে, তারপরও দেখা গেছে, ইরান তাদের প্রধান আমদানিকারকদের কাছে তেল রপ্তানি চালিয়ে যাচ্ছে বলেও সতর্ক করেছে বিশ্লেষকরা।

পোস্টটি শেয়ার করুন