বাংলাদেশের ধুঁকতে থাকা ফুটবলকে আবার জোয়ারে তুলেছেন হামজা চৌধুরী। মার্চ মাসে দর্শকদের চোখে দেখা যায়, তিনি প্রথমবারের মতো লাল-সবুজ জার্সি পরেই মাঠে নেমে বদলে দিয়েছেন অনেকের ধারণা। এর ফলে তিনি আন্তর্জাতিক ও প্রবাসী ফুটবলপ্রেমীদের জন্য এক অনুপ্রেরণার উৎসে পরিণত হয়েছেন, পাশাপাশি দেশের ফুটবল আলোচনা নতুন রূপ পেয়েছে।
এবার তিনি একটি বিশেষ উচ্চতাকে স্পর্শ করলেন। ইনস্টাগ্রামে তিনি পৌঁছে গেলেন ১০ লাখ বা ১ মিলিয়ন অনুসারীর মাইলফলক স্পর্শকারী প্রথম বাংলাদেশি ফুটবলার হিসেবে। নিজের ফেসবুক পেজে এই আনন্দের খবর প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, ইনস্টাগ্রামে ১ মিলিয়ন অনুসারী হলো আমার। আপনাদের সমর্থনের জন্য সবাইকে ধন্যবাদ, আমি সত্যিই অনেক কৃতজ্ঞ।’
অন্যদিকে, হামজার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শমিত সোমের অনুসারীর সংখ্যা বর্তমানে ৯ লাখ ৯২ হাজার, যা খুব শিগগির ১০ লাখের কোটায় পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশ দলে তার এই জনপ্রিয়তা তার অভিষেকের আগেই ফেসবুকেও দ্রুত পৌঁছে যায়,
তবে শুধু অনলাইনেই নয়, মাঠের খেলায়ও তিনি দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখাচ্ছেন। ২৫ মার্চ ভারতের বিপক্ষে তার বাংলাদেশ জাতীয় দলের অভিষেক হয়। ম্যাচে মাঝমাঠে দাপট দেখিয়ে ভারতকে শক্ত অবস্থানে ঠেকিয়ে দেন, যদিও শেষমেশ ম্যাচটি ড্র হয়।
ঘরোয়া দলেও তার অভিষেক ছিল স্মরণীয়—ভুটানের বিপক্ষে মাত্র ৭ মিনিটের মাথায় তিনি গোল করে আন্তর্জাতিক ফুটবলে নিজের প্রথম গোলের স্বাদ পান। বাংলাদেশ সেই ম্যাচে ২-০ গোলে জয়ী হয়ে যায়।
এছাড়া, কোচ হাভিয়ের কাবরেরার অধীনে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে খেলার সুযোগ পান তিনি। সেই ম্যাচেও শুধু উচ্ছ্বাস ছড়ানোই নয়, দেশের ফুটবল প্রেমীদের অঙ্গজাগানো আবেগের জন্য তিনি অবদান রেখেছেন।
আসন্ন সময়ের জন্য তার পথ অনুসরণ করে দলের আরও অনেক তরুণ ফুটবলার যেমন শমিত সোম, ফাহামেদুল ইসলামরা উঠে এসেছেন। বসুন্ধরা কিংসের কিংবদন্তি কিউবা মিচেলদের মতো অন্যান্য কুশলতর তারকা ফুটবলারও অপেক্ষায় নিজের অভিষেকের।