আগস্ট মাসে বাংলাদেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি আরও কমেছে, যা তিন বছরের মধ্যে সবচেয়ে নিচের স্তরে পৌঁছেছে। এই månসে প্রতি পয়েন্টে মূল্যস্ফীতি ধরাছোয়া কমে দাঁড়িয়েছে ৮.২৯ শতাংশে, যা দেশের অর্থনীতির জন্য একটি ইতিবাচক sinais। তবে, জুলাইয়ের তুলনায় আগস্টে খাদ্য মূল্যস্ফীতি সামান্য বেড়েছে। আগস্ট মাসে খাদ্যখাতে মূল্যস্ফীতি ছিল ৭.৬০ শতাংশ, যেখানে জুলাইয়ে এটি ছিল ৭.৫৬ শতাংশ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) রোববার এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের আগস্টে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯.৫২ শতাংশ, ২০২৩ সালে তা বেড়ে ৯.৯২ শতাংশ ও ২০২৪ সালে দাঁড়িয়েছে ১০.৪৯ শতাংশ। গত জুলাই মাসে এই হার ছিল ৮.৫৫ শতাংশ, ফলে জুলাইয়ের তুলনায় আগস্টে মূল্যস্ফীতি কমেছে ০.২৬ শতাংশ। গত বছরের আগস্টে এটি ছিল ১০.৪৯ শতাংশ।
অন্যদিকে, খাদ্যখাতের মূল্যস্ফীতি আবারও বেড়েছে। আগস্টে এই হার দাঁড়িয়েছে ৭.৬০ শতাংশ, যা জুলাইয়ে ছিল ৭.৫৬ শতাংশ। ২০২৪ সালের আগস্টে এই হার ছিল ১১.৩৬ শতাংশ। খাদ্যবহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতি সেপ্টেম্বরের হিসাব মতে, আগস্টে ৮.৯০ শতাংশে পৌঁছেছে, যা জুলাইয়ে ছিল ৯.৩৮ শতাংশ। সেই সাথে, ২০২৪ সালের আগস্টে এ হার ছিল ৯.৭৪ শতাংশ।
এছাড়াও, স্বল্প আয়ের শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি হার কিছুটা কমে দাঁড়িয়েছে ৮.১৫ শতাংশে। এর ফলে টানা ৪৩ মাস ধরে মজুরি বৃদ্ধির হার মূল্যস্ফীতির হার থেকে পিছিয়ে রয়েছে, যা নিম্নআয়ের পরিবারগুলোর জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাবার সমস্যা আরও জটিল করে তুলছে। যখন মূল্যস্ফীতি বেশি থাকে কিন্তু মজুরি বাড়ে না, তখন নিম্নবিত্তরা তাদের ক্রয়ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন, যা দেশের অর্থনৈতিক বৈষম্যকে আরও বাড়িয়ে দেয়।