শুক্রবার, ১২ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ২৮শে ভাদ্র, ১৪৩২

সূচকের মিশ্র প্রতিক্রিয়ায় লেনদেন ১৪০০ কোটি টাকার বেশি

দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের সকালে শুরু থেকেই কিছুটা অস্থিরতা দেখা যায়। সোমবার দিনের শেষে, মূল্যসূচকের মিশ্র প্রতিক্রিয়ায় লেনদেন সামান্য কমে যাওয়ার পাশাপাশি বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদর下降 হয়েছে। বেশির ভাগ ভালো কোম্পানির শেয়ার দর কমলেও, ‘পচা’ বা ‘জেড’ ক্যাটাগরির অনেক কোম্পানির শেয়ার দাম বৃদ্ধি পেয়েছে, যা বাজারের অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে।

বিশ্লেষকদের মতে, সাম্প্রতিক সময়ে এই দরপতনের কারণে দেশের প্রধান শেয়ারবাজারে দরপতনের তালিকা দীর্ঘ হয়েছে। এরই পাশাপাশি মূল সূচক কমে এসেছে। যদিও লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা কমলেও তা যথেষ্ট উল্লেখযোগ্য, যা গতকাল ছিলো প্রায় ১৪০০ কোটি টাকার বেশি। এটি দেখায় যে, চলমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যেও এই বছর দুবার ১৪০০ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) ভালো কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর বেড়েছে। সেখানে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বৃদ্ধির পাশাপাশি মূল্য সূচকেও ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। তবে, লেনদেনের পরিমাণ সামান্য কমেছে।

বিকেলে ডিএসইতে সব খাত মিলিয়ে ১২৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে, অন্যদিকে ২২৩টির দাম কমেছে, ও ৪৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স এক দিনের ব্যবধানে ৮ পয়েন্ট কমে ৫৬২৭ পয়েন্টে দাঁড়ায়। বাছাইকরা ভালো ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক ৩ পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়ে ২১৯১ পয়েন্টে অবস্থান করে। অন্যদিকে, ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৪ পয়েন্ট কমে ১২২৫ পয়েন্টে সূচকটি অবস্থান করছে।

লেনদেনের পরিমাণও উল্লেখযোগ্য, যা গতকাল ছিল ১৪০০ কোটি ৮৪ লাখ টাকা, যা আগের দিন ছিলো ১৪১৬ কোটি ৯০ লাখ টাকার বেশি। এর ফলে, দুই কার্যদিবসে মোট লেনদেনের পরিমাণ দুইবার ১৪০০ কোটি টাকার ওপরেই দেখা গেছে।

অন্য দিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্য সূচক সিএএসপিআই ৪৮ পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়েছে। বাজারে অংশ নেওয়া ২৬৪ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১২৭টির দাম বেড়েছে, ১১১টির দাম কমেছে ও ২৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। মোট লেনদেন হয়েছে ১৬ কোটি ৫১ লাখ টাকা, যা আগের কার্যদিবসের থেকে কমে ১৮ কোটি ৭৫ লাখ টাকায় নেমেছে।

পোস্টটি শেয়ার করুন