শনিবার, ১৩ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ২৯শে ভাদ্র, ১৪৩২

ঠাকুরগাঁওয়েসে ৮ বছর পর জেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে

দীর্ঘ আট বছর পর এই সেপ্টেম্বরে ঠাকুরগাঁওয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন। এই গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক অনুষ্ঠানটি ঘিরে নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উচ্ছ্বাস, উত্সাহ ও উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা যাচ্ছে।

সর্বশেষ ২০১৭ সালে এই অঞ্চলে বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এরপর থেকেই আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন বাধা ও প্রতিবন্ধকতার কারণে আর কোনও সম্মেলন আয়োজন সম্ভব হয়নি। তবে এবারের সম্মেলনের প্রস্তুতি চালানো হচ্ছে নতুন করে, প্রবল উৎসাহ ও মনোভাবের সাথে। ইতিমধ্যে মঞ্চ নির্মাণের কাজ আলোর মুখ দেখছে, শহর জুড়ে বিভিন্ন স্থানে ব্যানার ও ফেস্টুন টাঙানো হয়েছে। তবে প্রার্থী ও নেতাদের মধ্যকার মতবিনিময় বলছে, দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত রূপ দেবে এই সম্মেলনে।

সম্মেলনের জন্য নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, এ অনুষ্ঠানে ১১ জন প্রার্থী মনোনয়ন লাভ করেন। এর মধ্যে ৬ জন মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন। প্রধানত সভাপতি পদে একজন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এছাড়া, এই সম্মেলনে মোট কাউন্সিলর রয়েছেন ৮০৮ জন।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এছাড়া, সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মূল বক্তা হিসেবে থাকবেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান সামসুজ্জামান দুদু। রংপুর বিএনপির ত্রিপক্ষীয় নেতাদের পাশাপাশি দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরাও উপস্থিত থাকবেন।

প্রার্থীরা মনে করছেন, এই সম্মেলন আগামী জাতীয় নির্বাচনে দলের শক্তি আরো বৃদ্ধি করবে। তারা বিশ্বাস করছেন, মহাসচিবের নির্দেশনা অনুযায়ী দল আরও দৃঢ় ও একতাবদ্ধ হয়ে সামনের পথে এগিয়ে যাবে।

বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা-কর্মীরাও মনে করছেন, এই সম্মেলন তাদের দলকে আরও শক্তিশালী করবে এবং কর্মীবান্ধব নেতৃত্বের আওতা বাড়াবে। অপেক্ষা শুধু এই যে, কি ধরনের নেতৃত্ব উঠে আসে এই অনুষ্ঠানে। মহাসচিবের নির্দেশনা অনুযায়ীই দল এগোবে—এটাই স্বাভাবিক প্রত্যাশা।

নির্বিঘ্ন ও সুষ্ঠু সম্মেলনের জন্য নির্বাচন কমিশনের সদস্য অ্যাডভোকেট বদিউজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘সম্মেলনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। আমরা আশা করছি, একটি সুন্দর ও স্বচ্ছ সম্মেলন সম্পন্ন করতে পারব।’

ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘সম্মেলনকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তার জন্য পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীও প্রস্তুত। বিভিন্ন স্তরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও জানান, সকল প্রকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে যাতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে।

পোস্টটি শেয়ার করুন