বৃহস্পতিবার, ১৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৩রা আশ্বিন, ১৪৩২

সাংবিধানিক আদেশের মাধ্যমে বাস্তবায়ন: গণভোটের প্রস্তুতি ও পরবর্তী পরিকল্পনা

জাতীয় সংবিধান সংশ্লিষ্ট প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নের জন্য বিশেষজ্ঞ মহল একটি গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়েছে, যা সংবিধান আদেশের মাধ্যমে দ্রুত বাস্তবায়নের সুপারিশ করে। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে জনগণের বৈধতা পেতে গণভোটের আয়োজন করার প্রস্তাবও উঠেছে।

গত বুধবার, ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুষ্ঠিত বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের তৃতীয় দফা সংলাপে এই আলোচনাগুলো উঠে আসে। প্রথমে রোববার, কমিশন বৈঠকে তারা স্বাস্থ্যকর আলোচনা চালায়, যেখানে বিশেষজ্ঞরা ২২ ধারার অধীনে সংবিধান সংশোধন বা সংস্কারের জন্য সংবিধান আদেশ জারির সুপারিশ করেন। এই আদেশটি মূলত জুলাই সনদ ২০২৫-র ধারাগুলোর সংবিধান সম্পর্কিত বিষয়গুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করতে সহায়তা করবে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এই সংবিধান আদেশ ২০২৫-এ মূল সংস্কারগুলো অন্তর্ভুক্ত করে, তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর করতে পারে। এছাড়া, সংবিধান আদেশটি একটি গণভোটের মাধ্যমে সম্প্রচারিত হতে পারে, যা সাধারণ নির্বাচনের একই দিনে অনুষ্ঠিত হবে। যদি এই আদেশ জনগণের সম্মতি পায়, তবে এটি প্রণয়নের তারিখ থেকেই বৈধ বলে গণ্য হবে।

প্রকৌশলী আলোচকদের প্রস্তাবনায় বিভিন্ন পদ্ধতি বিবেচনা করা হয়, যেমন: অধ্যাদেশ, নির্বাহী আদেশ, গণভোট, সাংবিধানিক আদেশ ও ওভারসাইটের জন্য সুপ্রিম কোর্টের মতামত। এছাড়াও, এসব উপায় একত্রে প্রয়োগে সুপারিশ করা হয়েছে। এক মাসের মধ্যে এই বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া শুরু করার পরিকল্পনাও রয়েছে।

এদিকে, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ বলেছেন, ‘আমাদের মেয়াদ এক মাস বাড়ানো হয়েছে। আমরা এই সময়ের মধ্যে দ্রুত আলোচনা শেষ করে একটি সমাধানে পৌঁছানোর আশা করছি।’ তিনি আরও জানান, প্রথমে ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে কাজ শুরু করা এই কমিশনের মেয়াদ ১৫ অগাস্ট পর্যন্ত ছিল। এরপর দুবার মেয়াদ বাড়ানো হয়, সর্বশেষ ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।

তিনি মনে করেন যে, সরকারের সহায়তা নিয়ে, এই সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করা সম্ভব। তবে, এখনও কিছু রাজনৈতিক দলের মধ্যে স্পষ্ট মতভেদ রয়েছে, বিশেষ করে এনসিপি, জামায়াত ও বিএনপির মধ্যে। এই সমস্ত প্রস্তাবের বাস্তবায়ন এবং সময়সূচী নির্ধারণে এই দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা চলচ্ছ।

পোস্টটি শেয়ার করুন