আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য অনেকেরই মনে হচ্ছে এটি কঠিন এবং চ্যালেঞ্জপূর্ণ একটি লড়াই হবে। এই বিষয়টি মন্তব্য করে বিএনপির সিলেট বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক জি. কে. গউছ বলেন, বর্তমানে আওয়ামী লীগ ক্ষমতা হারালেও তাদের বীজ এখনও দেশের ভেতরে রয়ে গেছে, যা বিএনপির পথে বাধা সৃষ্টি করছে। তবে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, যদি জনগণের ভালোবাসা বিএনপির সঙ্গে থাকেআই, তাহলে কোনো দেশি বা বিদেশি ষড়যন্ত্রই দলকে দমাতে পারবে না। শনিবার দুপুরে কুলাউড়া উপজেলার বালিকা উচ্চবিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত দ্বিবার্ষিক বিএনপির সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন তিনি।
জি. কে. গউছ আরও বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যে ৩১ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন, সেটিই দেশের মুক্তির মূল রক্ষাকবচ। তিনি আরো জানান, দুই বছর আগে তিনি ভবিষ্যতের দেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে বিভন্ন আশঙ্কা ও ধারণা প্রকাশ করেছিলেন। বিএনপি বর্তমানে কাউন্সিলের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব তৈরি করছে, যা ভবিষ্যতের ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব ধরনের ষড়যন্ত্র প্রতিহত করবে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, সেই জাতিই কখনো গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছে, যারা নিজের অধিকার আদায়ের জন্য সাহসীভাবে বুক পূঁজি করেছে, সেই দেশের মানুষ কেউই শক্তির অপ্রতিরোধ্যতার মাধ্যমে তাদের দমন করতে পারেনি। বিএনপি আজও সারাদেশের মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার মো. রেদওয়ান খান সভাপতিত্ব করেন এবং জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুর রহিম রিপন সঞ্চালনা করেন। সভাপতি ছিলেন বিএনপির সিলেট বিভাগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ সিদ্দিকী।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক এমপি এম নাসের রহমান, জেলা বিএনপির আহবায়ক ফয়জুল করিম ময়ূন, সদস্য অ্যাডভোকেট আবেদ রাজা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমানসহ জেলা ও উপজেলা নেতারা। অনুষ্ঠানে প্রয়াত নেতাদের স্মরণে শোক প্রস্তাব পাঠ করেন বিএনপির বহির্বিশ্ব জাতীয়তাবাদী ফোরামের সভাপতি ড. সাইফুল আলম চৌধুরী।