ইসলামী সমমনা দলগুলোর মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠা হলে সম্ভাব্যভাবে জামায়াত পুরো ১০০ আসন ছেড়ে দিতে পারে বলে বিজেপি নেতারা মন্তব্য করেছেন। গতকাল শুক্রবার খুলনার আল ফারুক সোসাইটি মিলনায়তনে ইসলামী ছাত্রশিবির খুলনা মহানগর শাখা আয়োজিত সদস্য পুনর্মিলনী (১৯৭৭-২০২৫) অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। তিনি বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত ৩০০ আসনের জন্য চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং প্রাথমিক বাছাইও সম্পন্ন হয়েছে। তবে যারা সঙ্গে ঐক্য করবে, তাদের সঙ্গে কিছু আসন আমরা ছেড়ে দেব, কারণ অযোগ্য দল বা ব্যক্তি ছাড়া পুরোপুরি ঐক্য সম্ভব নয়।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমাদের পরামর্শপ্রাপ্ত আসনের সংখ্যা সম্ভবত ২০০-৩০০ এর মধ্যে হবে। এমনও হতে পারে, শেষ মুহূর্তে কিছু আসন আমরা ছেড়ে দিতে পারি। আমাদের অঙ্গসংগঠন ও নেতারা এ ব্যাপারে প্রস্তুতি নিচ্ছেন।’ তিনি বলেন, ‘দ্বীনকে সংসদীয় পর্যায়ে পাঠানোর জন্য এখনই উপযুক্ত সময়। যারা ছাত্ররাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তাদের আবারও সক্রিয় হয়ে দেশ ও সমাজের জন্য কাজ করতে হবে। জামায়াতের আমিরে বলেন, “৫০ বছরেরও বেশি সময়ে ইসলামী আন্দোলনের শক্তিকে পার্লামেন্টে পৌঁছানোর এটি একটাই সুযোগ। ভবিষ্যতে কি সুযোগ ফিরে আসবে, তা আমরা জানি না। আল্লাহ তাআলা তাঁদের গর্তে ডুবিয়েছে আর ইসলামি আন্দোলনকে মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।” তিনি নেতাকর্মীদের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আপনাদের প্রত্যেককে নিজেদের এলাকায় নির্বাচনী প্রস্তুতি নিতে হবে। বাড়িতে যাওয়ার সময় পরে গেলে, নিজ নিজ গ্রাম, ইউনিয়ন ও উপজেলা নিয়ে যোগাযোগ রক্ষা করুন।’ পরে এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি জানান, ‘আমরা জুলাই সনদ পাওয়ার জন্য আইনি প্রক্রিয়ার ওপর জোর দিয়েছি, কিন্তু বড় দলের বাধায় তা বিলম্বিত হচ্ছে। তারা মৌলিক পরিবর্তন চায় না এবং মনে করছে তারা ক্ষমতায় আছে। এই পরিস্থিতিতে, জামায়াত নির্বাচন ও আন্দোলনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।’ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন খুলনা মহানগর ছাত্রশিবিরের সভাপতি আরাফাত হোসেন মিলন, সাধারণ সম্পাদক রাকিব হোসাইন, জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা এমরান হোসাইন, মহানগর জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন হেলাল, ও নড়াইল জেলা জামায়াতের আমীর অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান বাচ্চু।
