উত্তরবঙ্গের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড় মাটি ও আবহাওয়ার উপযোগিতা কারণে এখানকার চা চাষ ইতিমধ্যেই তৃতীয় স্থান অধিকার করে নিয়েছে। তবে এই জেলার জন্য কেবল চা নয়, ফল ও ফসলের চাষে বিভিন্ন সফলতা দেখা যাচ্ছে। এসবের ধারাবাহিক অংশ হিসেবে বোদা উপজেলাও এখন দেশি মালটা চাষে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করছে।
নং ময়দানদিঘী ইউনিয়নের ভিমপুকুর এলাকার সাদেকুল ইসলাম নিজস্ব দুই বিঘা জমিতে ২১৭টি দেশি মালটা গাছ রোপণ করেন। প্রতিটি গাছ থেকে ফলন হয় ৫০ থেকে ৮০ কেজি। রোপণের দুই বছরের মধ্যে তিনি ফল বিক্রি করে সফলতা লাভ করেন, গত বছর দুই লক্ষ টাকা বিক্রির কথা বলেন। এ বছর তিনি আশা করছেন, ৪ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিক্রি সম্ভব হবে।
সাদেকুল বলেন, তিনি গত ১ জানুয়ারি ২০২২ সালে বোদা উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বিনামূল্যে এই মালটা গাছ সংগ্রহ করেন। সাথে পরিচর্যার জন্য রাসায়নিক সার ও প্রয়োজনীয় নির্দেশনা পাওয়ার পর থেকে তিনি নিয়মিত পরিচর্যা করে আসছেন।
অপর দিকে, বোদা উপজেলার ৩ নম্বর বনগ্রাম বেংহাড়ী ইউনিয়নের তেপুখুরিয়া টোকারা পাড়া এলাকার শাহিনুর জানিয়েছেন, তিনি ২১ একর জমিতে দেশি মালটা চাষ করেন। মালটার চাহিদা ব্যাপক, নভেম্বর মাসে ২৫০০ টাকা প্রতি মণ বিক্রি হয়। তিনি বলছেন, নভেম্বর মাসে ফলের দাম বেশি থাকার কারণেই এই সময়েই তিনি ফসল বিক্রি করবেন।
উপজেলা কৃষি অফিসার আহমেদ রাশেদ উন-নবী বলেন, মালটা চাষের জন্য এই এলাকার মাটি ও আবহাওয়া অত্যন্ত উপযোগী। তারা কৃষকদের মালটা ও অন্যান্য ফলের চাষে উৎসাহিত করছেন। এর ফলে কৃষকদের আয় বাড়ছে এবং স্থানীয় বাজারে দেশি ফলের চাহিদাও পূরণ হচ্ছে। এ বছর বোদা উপজেলায় মোট ৪৭ হেক্টর জমিতে মালটা চাষ হয়েছে।
