বুধবার, ৮ই অক্টোবর, ২০২৫, ২৩শে আশ্বিন, ১৪৩২

সিইসির বললেন, এই নির্বাচন জীবন শেষ সুযোগ

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন ঘোষণা করেছেন যে, এবারের নির্বাচন তার জন্য জীবনের শেষ সুযোগ। তিনি মন্তব্য করেন, ‘‘এটি শেষ সুযোগ। দেশবাসীর জন্য সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন উপহার দিতে চান আমি।’’ মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে নির্বাচন বিশেষজ্ঞ들과 চলমান সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন। এই সংলাপে অন্যান্য চার নির্বাচন কমিশনারসহ এনআইসি’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সিইসি বলেন, দেশের জন্য কিছু করতে এই নির্বাচনকে তিনি জীবনের শেষ সুযোগ হিসেবে বিবেচনা করছেন। তিনি বলেন, ‘‘আমরা চাই দেশবাসী ভালো ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন দেখুক। এর জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা অপরিহার্য।’’

তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের বিষয়গুলো নিয়ে নানা সমস্যা ও গ্যাপের কথা তারা শুনেছেন এবং এগুলোর সমাধানে মতামত দিয়েছেন বিশিষ্ট নারী নেত্রী ও নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা। তাদের অভিজ্ঞতা ও পরামর্শ বিবেচনা করে এগিয়ে যাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। এবারের নির্বাচনকে আরো বেশি জনগণের কাছে পৌঁছানোর জন্য প্রবাসীদের ভোটের বিষয়টিও গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। এছাড়াও, সরকারি চাকরিজীবী ও হাজতিদের জন্য পোস্টাল ব্যালটের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে সব শ্রেণির ভোটারদের ভোট দেওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করতে চাচ্ছে সংশ্লিষ্টরা।

সিইসি বললেন, বিভিন্ন দূরান্ত অঞ্চলে ভোটারদের মধ্যে আগ্রহ বাড়ছে বিভিন্ন সময়ে। নারী-পুরুষ ভোটার সংখ্যা নিয়ে আগের তুলনায় ৩০ লাখের বেশি পার্থক্য কমানো হয়েছে। পোস্টাল ব্যালট ব্যবস্থাও চালুর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, যাতে প্রবাসী ও অন্যান্য বিশেষ শ্রেণির ভোটাররা সহজে ভোট দিতে পারে। তিনি জানান, আইটি সুবিধা ব্যবহার করে হাইব্রিড পদ্ধতিতে ভোটের ব্যবস্থা করা হচ্ছে, যা প্রবাসীদের ও অন্যান্য ভোটারদের জন্য উপকারী।

সিইসি আরও বলেন, আধুনিক প্রযুক্তি ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হচ্ছে, তবে দায়িত্ব নিই হয়েছে সংকট মুহূর্তে। তার বয়স ৭৩ বছর, তরুণের মতো নতুন কিছু চাওয়া বা প্রত্যাশা তার নেই। তিনি জানিয়েছেন, এটাই তাঁর জীবনের শেষ সুযোগ এবং এই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে একটি সুন্দর, শান্তিপূর্ণ ও স্বচ্ছ নির্বাচন উপহার দিতে চান। সকলের সহযোগিতা এবং সমৃত মানুষের অংশগ্রহণের মাধ্যমে এ লক্ষ্য অর্জন সম্ভব বলে তিনি মনে করেন।

আনুষ্ঠানিকভাবে উপস্থিত ছিলেন— সাবেক সচিব ড. মোহাম্মদ জকরিয়া, সাবেক যুগ্মসচিব খন্দকার মিজানুর রহমান, মো. নূরুজ্জামান তালুকদার, মো. হির সরওয়ার মোর্শেদ, ঢাকা অঞ্চলের সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ আলম, সাবেক উপসচিব মো. শাহেদুন্নবী চৌধুরী, মাহফুজা আক্তার, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ও ফেমার প্রেসিডেন্ট মুনিরা খান, নেতৃত্বাধীন অন্যান্য সাবেক কর্মকর্তারা এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।

পোস্টটি শেয়ার করুন