৫ মে শাপলা চত্বরের গণহত্যা দিবস ঘোষণা এবং মোট তিন দফা দাবি জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম। সংগঠনটির দাবি দিনের আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগীত শিক্ষকের নিয়োগের বিধিমালা বাতিল করে ধর্মীয় শিক্ষকদের নিয়োগের জন্য নতুন বিধিমালা জারি করা, এছাড়া পবিত্র কোরআন ও ধর্ম অবমাননাকর কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রণয়নের। সংগঠনটি আরো বলেছে, জুলাই মাসের সনদে ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা গণহত্যার ঘটনা এবং ২০২১ সালের মোদিবিরোধী আন্দোলনে নিহতদের উল্লেখ থাকতে হবে।
সোমবার সকাল সাড়ে ১১টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি প্রকাশ করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে হেফাজতের মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ সাজিদুর রহমানের পক্ষস্বরূপ লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী।
সাক্ষাৎকারে মহাসচিব বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সন্তানদের নাচ-গান শেখানোর জন্য ভর্তি করা হয় না। বরং মুসলমান সন্তানদের জন্য ধর্মীয় শিক্ষা আরও জরুরি। কোরআন অবমাননা কঠোর আইনে দমন করা উচিত।
প্রশ্নের জবাবে মামুনুল হক জানান, হেফাজত একটি অরাজনৈতিক ধর্মীয় সংগঠন। রাজনৈতিক বা দলীয় একটিভিটিতে কোনো সম্পর্ক নেই। নির্বাচন বা রাজনীতি নিয়ে সংগঠনের নিজস্ব কোনো কার্যক্রম বা জোট নেই, তবে দেশপ্রেমিক ব্যক্তিরা অঙ্গীকারবদ্ধ থাকেন এবং নেতারা তাদের নিজস্ব বক্তব্য ও এজেন্ডা বাস্তবায়ন করেন।
ভোটের বিষয়ে চাপ দিলে তিনি বলেন, হেফাজত আমির একজন শীর্ষ আলেম ও মুরব্বি, তিনি ধর্মীয় দিক থেকে নির্দেশনা দেন। কাকে ভোট দেওয়া বা না দেওয়া, তা নির্বাচনকালীন হেফাজতের দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী বলা হবে।
বিভিন্ন মাজারে হামলার বিষয়ে মামুনুল হক বলেন, শোনা যায় যে কিছু মাজারে ইসলাম ও সমাজবিরোধী কর্মকাণ্ড হয়। এই কর্মকাণ্ড বন্ধের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানানো হয়েছে, তবে হেফাজত আইন হাতে তুলে নেবে না।
সংবাদ সম্মেলনে দোয়া ও মোনাজাত করেন হেফাজতের আমির আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী, নাযেবে আমির মুফতি জসিম উদ্নি, মাওলানা আব্দুল আউয়াল, মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীব, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা ফজলুল করিম কাসেমী, খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী এবং সহকারী মহাসচিব মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন রাজি প্রমুখ।