শনিবার, ১৮ই অক্টোবর, ২০২৫, ২রা কার্তিক, ১৪৩২

গাজায় যুদ্ধবিধ্বস্ত পরিস্থিতিতে ঢুকছে ৬০০ ত্রাণবাহী ট্রাক

ইসরায়েলের ভয়াবহ সামরিক অভিযান ও এর কারণে খাদ্য, ওষুধ ও প্রয়োজনীয় সামগ্রীর ঘাটতিতে বিপর্যস্ত গাজা উপত্যকায় আসছে ৬০০ ত্রাণবাহী ট্রাক। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ ট্রাকগুলো বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে গাজায় প্রবেশ শুরু করবে। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, এই তথ্য ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) থেকে এসেছে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে অপ্রত্যাশিত হামলার এক দিন পরে, ৮ অক্টোবর থেকে গাজায় ব্যাপক একটি সামরিক অভিযান শুরু করে আইডিএফ। এর ফলে গাজার খাদ্য ও ত্রাণের সরবরাহ ব্যাপকভাবে টেনেমাত্রা পড়ে যায়, যা পরিস্থিতিকে আরও সংকটাপন্ন করে তোলে।

অভিযানের আগে থেকেই গাজার মোট জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশ সরাসরি খাদ্য ও ত্রাণ সহায়তার ওপর নির্ভরশীল ছিল। কিন্তু অস্ত্রের আগ্রাসনের কারণে গাজার অবস্থা ভয়ঙ্কর রকমের খারাপ হয়ে পড়ে। গত দুই বছরে ক্ষুধা ও অপুষ্টিজনিত কারণে গাজায় প্রায় ৫০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে, যাদের অধিকাংশই শিশু।

ত্রাণের জরুরি প্রয়োজন মেটাতে মূলত রাফা সীমান্ত ক্রসিং দিয়ে সাহায্য আসছে। আন্তর্জাতিক আলোচনা ও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবনায় ইসরায়েল ও হামাস একমত হলে ১০ অক্টোবর থেকে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা হয় গাজায়। যুদ্ধবিরতির প্রথম তিন দিনে প্রতিদিন ৩০০ টি ত্রাণবাহী ট্রাক রাফা সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করে।

ট্রাম্পের ২০ পয়েন্টের প্রস্তাবনায় উল্লেখ ছিল, গাজায় বন্দি থাকা সব জীবিত ও মৃত ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া হবে। যুদ্ধবিরতির তৃতীয় দিন সব জীবিত জিম্মি মুক্তি পেলেও, yalnız চারজন মৃত জিম্মির মরদেহ ফেরত দেয় হামাস, যা ইসরায়েলি নেতৃত্বের ক্ষোভের সৃষ্টি করে। এর ফলে গাজায় ত্রাণ সরবরাহ বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় ইসরায়েল।

তবে পরে হামাস আবার মৃত জিম্মির মরদেহ ফেরত দিলে ইসরায়েলের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে। ইসরায়েলের কর্মকর্তারা জানিয়ে দিয়েছেন, হামাস যদি চুক্তির শর্ত ভঙ্গ না করে, তাহলে প্রতিদিন গাজায় ৬০০ ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ চালু থাকবে।

সূত্র: রয়টার্স

পোস্টটি শেয়ার করুন