সম্প্রতিক আরব আরবের আলোচনায় উঠে এসেছে যে, সৌদি আরব বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি শক্তিশালী প্রতিরক্ষা চুক্তি করার পরিকল্পনা করছে। আশা করা হচ্ছে, আগামী নভেম্বরের ওয়াশিংটন সফরের সময় সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করবেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিনান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে জানা গেছে, এই বিষয়ে অবগত এক কর্মকর্তা জানান, আলোচনা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে গেছে, তবে চুক্তিটির আনুষ্ঠানিকতা কবে হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
বিশ্লেষকদের দাবি, এই সম্ভাব্য চুক্তিটি কাতারের সঙ্গে গভীর আস্থার সম্পর্কের মতো হতে পারে। দু দেশের মধ্যে গত মাসে স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী, যদি কোনও সশস্ত্র আক্রমণ ঘটে, তবে সেটিকে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর হামলার মতো গণ্য করা হবে। কাতারের রাজধানী দোহার এই চুক্তি, বিশেষ করে ফিলিস্তিনি স্বতন্ত্রতাকামী গোষ্ঠী হামাসের ঘাঁটিতে ইসরায়েলের বিমান হামলার কয়েকদিন পরই হয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছে, সৌদি আরবের সঙ্গে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা আমাদের আঞ্চলিক কৌশলের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি। তবে তারা এই চুক্তির বিশেষ বিবরণ জানাতে অস্বীকার করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, হোয়াইট হাউস এবং সৌদি সরকারের প্রতিক্রিয়া বা মন্তব্য এখনো পাওয়া যায়নি।
একই সময়ে, যুক্তরাষ্ট্র সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতিতে নানা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, যার মধ্যে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে একাধিক উদ্যোগ রয়েছে। সৌদি আরব এখন কাতারের মতো নিরাপত্তা গ্যারান্টি চেয়ে আসছে, যা সম্ভবত এই অঞ্চলে শক্তিশালী সমঝোতা সৃষ্টি করবে।
অন্যদিকে, গত মাসে সৌদি আরব পাকিস্তানের সঙ্গে একটি পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এই চুক্তি, যার নাম ‘কৌশলগত পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তি’, দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের সম্পর্কের একটি নতুন অধ্যায় সূচনা করেছে। এই চুক্তিকে মধ্যপ্রাচ্য এবং দক্ষিণ এশিয়ার ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তা ঝুঁকির প্রেক্ষাপটে একটি কৌশলগত বার্তা হিসেবে দেখা হচ্ছে। এর মধ্যে বলা হয়েছে, এই চুক্তি অনুযায়ী, यदि কোনও দেশ দ্বারা আক্রমণ হয়, তবে তা উভয় দেশের মধ্যে আগ্রাসন হিসেবে বিবেচিত হবে। এই ধরনের পরিস্থিতিতে, একে অপরের বিরুদ্ধে যৌথ প্রতিরোধ গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দৃঢ়ভাবে ঘোষণা করা হয়েছে।