বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের উন্নয়ন ও সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সংলাপ শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ) এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশন (এনপিও) আজ এক গুরুত্বপূর্ণ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছেন। এই চুক্তির মধ্য দিয়ে পোশাক শিল্পকে ডিজিটাল যুগে মানানসই করে তোলার লক্ষ্যে একযোগে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ, সেমিনার এবং পরামর্শমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। এতে জোর দেওয়া হবে উৎপাদনশীলতা বাড়ানো, আধুনিক পদ্ধতি যেমন ৫ এস, কাইজেন ও লিয়েন ম্যানুফ্যাকচারিং প্রবর্তনের ওপর। নির্ধারিত অনুযায়ী, প্রতিবছর তিনটি পোশাক কারখানাকে ‘মডেল এন্টারপ্রাইজ’ হিসেবে নির্বাচন করা হবে, যেখানে এনপিওর কারিগরি সহায়তায় উৎপাদনশীলতা উন্নয়নের জন্য পাইলট প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে। এর পাশাপাশি, উভয় সংস্থা এশীয় প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশনের (এপিও) সহায়তায় গবেষণা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত উদ্যোগগুলো সম্পন্ন করবে। অনুষ্ঠানে বিজিএমইএ এর প্রতিনিধি জানান, বৈশ্বিক বাজারে বদল আসছে, প্রযুক্তির দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে, সাপ্লাই চেইনের নতুন চাহিদা তৈরি হচ্ছে—এমন সময় পোশাক শিল্পকে ইন্ডাস্ট্রি ৪.০ এর সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়া আবশ্যক। শুধু খরচ কমানোর দিকে মনোযোগ না দিয়ে, এখন প্রয়োজন মানের উন্নয়ন, দক্ষতা, দ্রুততা এবং নতুন উদ্ভাবনে জোর দেওয়া। বিজিএমইএ এর পরিচালক জোয়ারদার মোহাম্মদ হোসনে কমার আলম বলেন, বাংলাদেশের পোশাক শিল্পকে স্মার্ট ম্যানুফ্যাকচারিংয়ে উন্নীত করতে হলে ডিজিটাল প্রযুক্তি, আইওটি ও উদ্ভাবনী ধারাগুলো আমাদের উৎপাদন ব্যবস্থায় অন্তর্ভুক্ত করা জরুরি। এই অংশীদারিত্ব দেশের তৈরি পোশাক শিল্পকে টেকসই, আধুনিক ও প্রতিযোগিতামূলক দিকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।





