জয়পুরহাট, বাংলাদেশের অন্যতম আলু উৎপাদনকারী জেলা, বর্তমানে বর্ষণের কারণে উদ্বেগে পড়েছে কৃষকরা। গত বছর এই জেলায় আলু চাষের জন্য ব্যাপক ক্ষতি হয়নি, তবে এখনো জেলা জুড়ে লাখ লাখ বস্তা আলু হিমাগারে সংরক্ষিত রয়েছে। কৃষকরা এই লোকসান পুষিয়ে নিতে আগাম আলু চাষ করেছিলেন, কিন্তু হঠাৎ এসেছে একের পর এক প্রাকৃতিক দুর্যোগ। বাংলাদেশের এই অংশে সম্প্রতি বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে জেলা পাঁচ উপজেলার বিভিন্ন অংশে গত বৃহস্পতিবার থেকেই অবিরাম বৃষ্টি শুরু হয়েছে, যার ফলে জমিতে জল জমে যাচ্ছে। আগে থেকেই প্রস্তুত করা আলু বাগানে পানি জমে থাকায় বীজের পচে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ফলে কৃষকের হতাশার পাশাপাশি চিন্তার মধ্যে পড়েছেন তারা। একইসঙ্গে, রোপা আমন ধান ও শীতকালীন সবজির গাছগুলোও পানিতে ডুবে যাচ্ছে বা ক্ষতির মুখে। ধানক্ষেতের আধা-পাকা ধান ঝুঁকে পড়ছে ও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। মঙ্গলবার পর্যন্ত জেলার ২১টি হিমাগারে আলুর মজুত ছিল প্রায় ৮৪,১৬৯ মেট্রিক টন, যা এখনও বিকল্পের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। স্থানীয় কৃষকরা বলছেন, গত বছর আলুর ভালো দাম না পাওয়ায় এই বছর তারা আগাম আলু চাষে বেশি মনোযোগী হয়েছিলেন। তবে অপ্রত্যাশিত বর্ষণের কারণে জমিতে পানি জমে, বীজ পচে যাওয়ার আশঙ্কা বাড়ছে। কেউ কেউ জানাচ্ছেন, জমিতে পানি নিষ্কাশনের কাজ এখনও সম্পূর্ণ হয়নি, ফলে কবে আবার আলু রোপণ করতে পারবেন তা অজানা। অন্যদিকে, অসময়ে বৃষ্টির কারণে চাষের উপরে চাপ পড়েছে ধানের ক্ষেতেও। গাছগুলো এখন পানিতে ডুবে গেছে বা ঝুঁকে পড়েছে, যা বিপদকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। কৃষক গোলাপ হোসেন বলেন,





