সোমবার, ১০ই নভেম্বর, ২০২৫, ২৫শে কার্তিক, ১৪৩২

জাপানে ৬.৭ মাত্রার ভূমিকম্পের পর সুনামি ও সতর্কতা

রোববার সন্ধ্যায় জাপানের ইয়াওয়া উপকূলের কাছাকাছি এলাকা শক্তিশালী ৬.৭ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ভূমিকম্পের পর, প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে হালকা সুনামির আঘাত দেখা গেছে। স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা ৩৭ মিনিটে মুহূর্তের মধ্যে প্রথম সুনামি আঘাত হানে ইয়াওয়া প্রদেশের মিয়াকোতেও। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, সুনামির ঢেউ অনেকটাই ছোট হওয়ায় এর উচ্চতা সঠিকভাবে পরিমাপ করা সম্ভব হয়নি। তবে, প্রথম আঘাতের মাত্র দুই মিনিটের মধ্যে ওফুনো উপকূলে ১০ সেন্টিমিটার উচ্চতার একটি ঢেউ দেখা গেছে। জাপানের আবহাওয়া সংস্থা (জেএমএ) সতর্ক করে দিয়েছে, হয়তো আরও বড় সুনামি আক্রমণ আসতে পারে। সাম্প্রতিক সময়ে ভূমিকম্পের পর বেশ কয়েকটি আফটারশক অনুভূত হয়েছে, যার শক্তি ৫.৩ থেকে ৬.৩ এর মধ্যে। একই অঞ্চলে সকালেও বেশ কয়েকটি ভূমিকম্প হয়েছে, তবে সেগুলো খুব বেশি অনুভূত হয়নি এবং সুনামি সতর্কতা জারি হয়নি। ২০১১ সালে এই এলাকায় ভয়াবহ ৯.০ মাত্রার ভূমিকম্প এবং তার ফলে গতির সৃষ্টি হয়েছিল বিশাল সুনামি, যার ফলে প্রায় ১৮,৫০০ মানুষ নিহত বা নিখোঁজ হয়। ওই সুনামি ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালায়, যেখানে তিনটি রিঅ্যাক্টর গলে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছিল। এটি জাপানের সবচেয়ে মারাত্মক পারমাণবিক দুর্যোগের পাশাপাশি বিশ্বজুড়ে চেরনোবিলের পরে সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনা হিসাবে ইতিহাসে স্থান করে নিয়েছে। জাপান প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের চারটি tectonic plate-র সংযোগস্থলে অবস্থিত, যার জন্য দেশটি বিশ্বে অন্যতম ভূমিকম্পপ্রবণ। এই দ্বীপদেশের প্রায় ১২ কোটি ৫০ লাখ মানুষের বাস, যেখানে প্রতিবছর অন্তত দেড় হাজার ভূমিকম্প হয়, যার বেশিরভাগই হালকা থেকে মাঝারি মাত্রার। তবে ভূমিকম্পের ক্ষতি বিভিন্ন বিষয়ে নির্ভর করে এর গভীরতা ও অবস্থানের উপর।

পোস্টটি শেয়ার করুন