রবিবার, ১৬ই নভেম্বর, ২০২৫, ১লা অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

নির্বাচনের আগে শিক্ষকদের দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান নুরের

ফেব্রুয়ারির মধ্যে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জাতীয় নির্বাচনের প্রাক্কালে, সরকার যেন শিক্ষকদের বিভিন্ন দাবি ও গুরুত্বপূর্ণ দাবিদাওয়া মানে—এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। তিনি আরো জানান, শিক্ষকদের দীর্ঘদিনের চাহিদা এবং বেতন কাঠামো সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দাবি দ্রুত মেনে নেওয়া জরুরি, যাতে নির্বাচনের আগে সমস্যাগুলো সমাধান হয়ে যায়।

শুক্রবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রণাঙ্গনে আওতাধীন জাতীয় প্রেসক্লাবের অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী দাবি আদায় ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত এক বিশেষ প্রতিনিধি সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন দাবি আদায় ঐক্য পরিষদের মুখ্য সমন্বয়ক মো. ওয়ারেছ আলী।

নুর বলেন, সরকারের জন্য সময় খুবই গুরুত্বপুর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দীর্ঘ দিন ধরে চলমান নবম পে-স্কেল সংশ্লিষ্ট আলোচনা এখনও সমাধানে পৌঁছায়নি। তিনি আশাবাদী, সরকার যৌক্তিক বেতন কাঠামো ও সমাধান নিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেবে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, নির্বাচন আসার আগেই শিক্ষকদের দাবিগুলো নিষ্পত্তি হওয়া অত্যন্ত জরুরি।

নুর আরও উল্লেখ করেন, রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা এবং উন্নয়নের জন্য প্রথমত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জীবনমান উন্নত করতে হবে। বিশেষ করে, বেতন বৈষম্য দূর করা এই মুহূর্তে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, কেউ পাচ্ছে মাত্র ৮ হাজার টাকা, আবার কারো বেতন ৭০ হাজার টাকা—এ ধরনের বৈষম্য আর চলে না।

এদিকে, দাবি আদায় ঐক্য পরিষদের সমন্বয়ক মো. লুৎফর রহমান জানান, যদি আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে পে-কমিশনের রিপোর্ট প্রকাশ না হয়, তবে তারা ১ ডিসেম্বর থেকে রাজপথে আন্দোলনে নামবেন। তিনি আরও জানান, ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে নতুন পে-স্কেল অনুযায়ী গেজেট প্রকাশের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।

বক্তারা বলেন, নবম পে-স্কেল সংক্রান্ত অর্থ উপদেষ্টার বক্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে। নতুন পে-স্কেল বাস্তবায়নের জন্য ১:৪:১২ কাঠামো, ১২ গ্রেড এবং সর্বনিম্ন ৩৫ হাজার টাকার মূল বেতনের দাবি উঠে আসে।

আনন্দের পরিবর্তে তারা আরও জানিয়ে দেন, যদি নির্বাচনের আগে পে-স্কেল গেজেট প্রকাশ ও বাস্তবায়ন না হয়, তবে তারা নির্বাচনী প্রচার বা অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকবেন।

পোস্টটি শেয়ার করুন