ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর অঞ্চলে ইসরায়েলিরা যারা নির্যাতন ও নিপীড়ন চালাচ্ছে, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। এ বিষয়ে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিতে মন্ত্রিসভার এক বিশেষ বৈঠক ডাকার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
গত সোমবার এক বিবৃতিতে নেতানিয়াহু বলেন, পশ্চিম তীরের কিছু চরমপন্থি দল দীর্ঘ সময় ধরে সহিংসতা, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি এবং আইন নিজের হাতে গ্রহণের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এই পরিস্থিতি মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি জানান, তিনি ইতোমধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন যারা এই দাঙ্গাকারীদের গ্রেপ্তার করতে এবং আইনি ব্যবস্থা কার্যকর করতে।
অন্য এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন, পশ্চিম তীরে সহিংসতা বন্ধে আলাদাভাবেও অর্থায়ন ও রসদ বরাদ্দের সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। এর পাশাপাশি, বেথলেহেম শহরের কাছের গ্রাম জাবায়ে গত সোমবার বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ও যানবাহনে আগুন দিয়েছে ইসরায়েলি দাঙ্গাকারীরা। এর আগেও পশ্চিম তীরের সা’র গ্রামে একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে।
এই দাঙ্গার পর ফিলিস্তিনের মন্ত্রিসভা জরুরি বৈঠক করে, যেখানে তারা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দ্রুত হস্তক্ষেপের দাবি জানায়। তারা বিবৃতিতে বলেছে, ইসরায়েলি দাঙ্গাকারীরা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন অব্যাহত রাখছে, এবং তারা ইসরায়েলি সরকারকে এই সহিংসতাকে প্রশ্রয় ও সুরক্ষা দেওয়ার জন্য দায়ী।
বৈঠকের কিছু সময়ের মধ্যে, নেতানিয়াহু একটি পৃথক বিবৃতি দেন যেখানে তিনি আইনের আওতায় আনার ঘোষণা করেন।
পশ্চিম তীরের আয়তন প্রায় ৫৫৬৫ বর্গকিলোমিটার, যেখানে মূলত বসবাস করে একুশ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি। পশ্চিম তীরকে প্রস্তাবিত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্র গড়ার মূল ভূখণ্ড হিসেবে ধরা হয়। গাজায় যুদ্ধবিরতির পর থেকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দাবী আরও প্রবল হয়ে উঠছে।
এই খবর রাষ্ট্রীয় এজেন্সি রয়টার্স থেকে নেওয়া হয়েছে।





