ইরানের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ও সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির উপদেষ্টা কামাল খারাজি জানিয়েছেন, ইরান আবারও যুক্তরাষ্ট্রের সাথে পারমাণবিক বিষয়ক আলোচনায় ফিরতে প্রস্তুত। তবে এ আলোচনা সম্মান ও মর্যাদার ভিত্তিতে হওয়া আবশ্যক। তেহরান থেকে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে খারাজি বলেন, প্রথম পদক্ষেপ তাদেরই নিতে হবে এবং দেখাতে হবে যে, তারা আমাদের দেওয়া শর্তগুলো মান্য করে আলোচনা করতে প্রস্তুত। সেটি অবশ্যই সমান মর্যাদা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার ভিত্তিতে হতে হবে। তিনি আরও দাবি করেন, আলোচনার অগ্রাধিকার দিয়ে এজেন্ডা আগে থেকেই প্রস্তুত করা হবে, যাতে বিষয়বস্তুর স্পষ্টতা ও প্রক্রিয়ার নিশ্চিততা থাকে। খারাজি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ট্রাম্প প্রশাসন কূটনৈতিক আলোচনায় বিশ্বাস করেন না, বরং লক্ষ্য অর্জনের জন্য শক্তি প্রয়োগ করতে পছন্দ করেন। তিনি জানিয়েছেন, জুন মাসে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক বাড়িঘরগুলোর উপর হামলা চালানোর পর থেকে ওয়াশিংটনের সাথে আলোচনার শর্তগুলো অপরিবর্তিত রয়েছে। ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ অব্যাহত রয়েছে এবং থাকবে, কারণ এর প্রয়োজন বিদ্যুৎকেন্দ্র ও চিকিৎসার জন্য। খারাজি জানান, তেহরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়ন আলোচনার বাইরে থাকবে। তাঁর ভাষায়, ‘আমরা কেবল পারমাণবিক বিষয় নিয়েই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা করব।’ চলতি বছরের এপ্রিলে ট্রাম্প প্রশাসন ও ইরানের মধ্যে পরোক্ষ আলোচনা শুরু হয়েছিল পরমাণু বিরোধের সমাধানে। কিন্তু জুন মাসে ইসরায়েল ইরানে আকস্মিক হামলা চালিয়ে পরিস্থিতি জটিল করে তোলে এবং ওয়াশিংটনকে এতে সম্পৃক্ত করে। খারাজি আরও বলেন, ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের মাত্রা নিয়েই আলোচনা হবে, কেবল সমৃদ্ধকরণের পরিমাণই মূল্যবান বিষয়। তিনি প্রশ্নের উত্তরে বলেন, সংঘাতের ক্ষেত্রে সব কিছু সম্ভব, তবে ইরান যেকোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত।





