আন্তর্জাতিক টেস্টের দুই দিন শেষে পরিস্থিতি বেশ উত্তেজনাপূর্ণ থাকলেও আয়ারল্যান্ডের খেলোয়াড়রা তৃপ্তি পেয়েছে বলে মনে হয় না। দেড় দিন ধরে দারুণ কঠোর পরিশ্রমের পর,他们 এখন নিজেরা ব্যাটিংয়ে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন, যদিও পরিস্থিতি এখনও স্বস্তিতে নয়। ফলো অনের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ায় তাদের জন্য চিন্তার ভাঁজ পড়েছে, সঙ্গে হারার শঙ্কাও যেন আরও গভীরতর হয়ে উঠেছে।
মিরপুর টেস্টের দ্বিতীয় দিনে আয়ারল্যান্ডের প্রথম ইনিংস শেষ হয় ৯৮ রানে। ব্যাটিং সহায়ক উইকেটের সুবিধা নিয়েও তারা প্রথম দিনটি ভালোভাবে শুরু করতে পারেনি। এখনও তারা বাংলাদেশের থেকে ৩৭৮ রানে পিছিয়ে রয়েছে। আজ তৃতীয় দিনটি শুরু করবেন লরকান টাকার (১১) ও স্টেফেনি ডোহেনি (২)।
আয়ারল্যান্ডের শুরুটা ছিল বেশ ভালো। তবে দলীয় ৪১ রানে ওপেনার পল স্টার্লিং আউট হওয়ায় দলের ব্যাটিং ধস নামে। ব্যক্তিগত ২৭ রানে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়েন তিনি, এরপর খালেদ আহমেদ তার উইকেট নেওয়ার মাধ্যমে আয়ারল্যান্ডের বোলিংয়ে উজ্জীবন আনে। ঐদিন স্লো স্পিনার হাসান মুরাদ, মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাইজুল ইসলাম বড় ভূমিকা রাখেন উইকেট শিকার করে।
এসব স্পিনারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নিয়েছেন বাঁহাতি স্পিনার মুরাদ। অন্যদিকে, তৃতীয় উইকেট নেওয়া মিরাজের জন্য দিনের পঞ্চম উইকেট ছিল গুরুত্বপূর্ণ।
অবশ্য দিনের সবচেয়ে উজ্জ্বল ঘটনা ছিল বাংলাদেশির জন্য। ম্যাচের প্রথম ইনিংসে স্বপ্নের মতো সেঞ্চুরি করে মাঠ ছাড়েন মুশফিকুর রহিম। তার শততম টেস্টে এটি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত, যেখানে তিনি প্রথমে ৯৯ রানে পৌঁছেছিলেন, পরে দ্বিতীয় ওভারের তৃতীয় বলে সিঙ্গেল নিয়ে তিন অঙ্ক এঁকে দেন। এ জন্য তিনি বিশ্বের ১১তম ব্যাটার হিসেবে শততম টেস্টে সেঞ্চুরি করেছেন। আরও এক ধাপ এগিয়ে তিনি বা তাঁর যোগ্যসহকারী মমিনুল হকের সঙ্গে টেস্টে ১৩টি করে শতক অর্জনের মালিক।
সেঞ্চুরির পর মুশফিক তেমন লম্বা innings করতে পারেননি, ১০৬ রানে ৫টি চার মেরেছেন। এরপর তিনি ড্রেসিংরুমে ফিরে যান। তবে তাঁর অভাবপূরণ করতে পারেননি আয়ারল্যান্ডের বোলাররা। এর মধ্যে দারুণ এক সেঞ্চুরি করে নিজেদের মাঠে আস্থা ফিরিয়ে আনে লিটন দাস। তার ক্যারিয়ারের পঞ্চম শতক অর্জিত হয় ১২৮ রানে, যেখানে তিনি ৮টি চার ও ৪ ছক্কা মারেন। এটি তাঁর প্রথম শ্রেণির ১০০তম ম্যাচে ঘটে।
লিটনের আগে মেহেদী হাসান মিরাজ ৪৭ রানে আউট হন। দুজনই দলীয় ৪৩৩ রানে আউট হওয়ার পরে বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডার ভেঙে পড়ে। শেষ পাঁচ উইকেট মাত্র ৪৩ রানে হারায় বাংলাদেশ। সব মিলিয়ে মিরপুর টেস্টে এক ইনিংসে বাংলাদেশ তিনটি সেঞ্চুরি ঘটে – যা এক রেকর্ড।
অন্যদিকে, প্রতিপক্ষের হয়ে সর্বোচ্চ ৬ উইকেট নেন অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইন।





