রবিবার, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৫, ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

গুমের দুই মামলায় ১৩ সেনা কর্মকর্তা আবার ট্রাইব্যুনালে হাজির

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলকালে সংঘটিত গুমের দুই মামলার মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত ১৩ সেনা কর্মকর্তাকে রোববার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ হাজির করা হয়েছে। হাস্যরসপূর্ণ এই শুনানি শুরু হয় সকাল ১০টায়, যেখানে এই সেনা কর্মকর্তাদের উপস্থিতি দেখা গেছে।

গুমের এই দুই মামলার বিষয় হলো—টিএফআই এবং জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেলে নির্যাতনের অভিযোগে, এবং এসব মামলার পলাতক আসামিদের জন্য ইতোমধ্যে একটি বাংলা ও একটি ইংরেজি পত্রিকায় বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।

এর আগে, মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক দুই মামলায় আওয়ামী লীগের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার নিরাপত্তা উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল তারিক আহমেদ সিদ্দিক, ডিএফআই-এর সাবেক পাঁচ মহাপরিচালক ও আরও ৩০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১, ৮ অক্টোবর।

একই সময়ে, ১১ অক্টোবর, সেনাবাহিনী একটি সংবাদ সম্মেলনে জানায়, ১৫ জন বর্তমান বা অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা তাদের হেফাজতে নেয়া হয়েছে। ২২ অক্টোবর, বুধবার সকালে তাদের পরিচালিত এক বিশেষ প্রিজন ভ্যানে করে সাধারণ দপ্তর পোশাকে এই কর্মকর্তাদের ট্রাইব্যুনালে আনা হয়। তাদের শুনানির পরে ঢাকা সেনানিবাসের নির্ধারিত সাব-জেলে পাঠানো হয়।

চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম উল্লেখ করেছেন, অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তার ও ট্রাইব্যুনালে হাজিরে সেনাবাহিনীর সহায়তা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তিনি আরও বলেন, ‘অভিযুক্ত অফিসারদের গ্রেপ্তার ও বিচার কাজের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর পরিশ্রম করেছে, এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এই ট্রাইব্যুনালের বিচারিক প্রক্রিয়াকে নির্ভরযোগ্যভাবে সহায়তা করেছে।’

তবে, এই সেনা কর্মকর্তারা এখনো চাকরিতে বহাল থাকেন কি না, তা নিশ্চিত করতে পারেননি সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা।

প্রসঙ্গত, রোববার যেসব সেনা কর্মকর্তাদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করার কথা রয়েছে, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন র‍্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, তোফায়েল মোস্তফা সারোয়্যার, মো. কামরুল হাসান, মো. মাহাবুব আলম, ব্রিগেডিয়ার কে. এম. আজাদ, কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন ও আনোয়ার লতিফ খান (অবসরে), র‌্যাবের গোয়েন্দা শাখার সাবেক ডিরেক্টর লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মশিউর রহমান জুয়েল, সাইফুল ইসলাম সুমন, মো. সারওয়ার বিন কাশেম, ডিজিএফআইয়ের সাবেক তিন কর্মকর্তা—মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী, আরাহমদ তানভির মাজাহার সিদ্দিকী—সহ আরও অনেকের নাম অন্তর্ভুক্ত।

পোস্টটি শেয়ার করুন