রবিবার, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৫, ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ফুলকপি চাষে কৃষকের উচ্ছ্বাস

শীতকালীন সবজি বাঁধাকপি ও ফুলকপি চাষে দৌলতপুরের কৃষকরা ব্যাপক সাফল্য লাভ করেছেন। কুষ্টিয়া জেলার এই অঞ্চলটি প্রাকৃতিক ভাবে উর্বর মাটির জন্য পরিচিত, যেখানে কৃষকরা এই সবজির চাষে সফলতা অর্জন করছেন। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এই সবজি শহরসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় রপ্তানি করা হয়, ফলে কৃষকদের মধ্যে খুশির জোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে প্রতিটি বিঘা জমিতে কপি বিক্রি করে লাভ হয় প্রায় ৫০ হাজার টাকা। সূত্র জানিয়েছে, এই চাষে প্রতি বিঘার খরচ প্রায় ৩০ হাজার টাকা, আর বিক্রির মাধ্যমে প্রাপ্ত আয় হয় ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা। চাষিরা বলছেন, বর্তমানে বাজারে বাঁধাকপি ও ফুলকপির চাহিদা বেশি হওয়ায় দামও তুলনামূলকভাবে বেশি, এতে লাভও বেশি হচ্ছে। গরুড়া গ্রামের মহি উদ্দিন জানান, শীতে তিনি প্রাকৃতিক জাতের ৭ বিঘা জমিতে বাঁধাকপি ও ফুলকপি চাষ করেছেন। এর মধ্যে ২ বিঘার কপি বিক্রি করে পেয়েছেন ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা। আরও ৫ বিঘার বিস্তারিত বিক্রি হয়নি। তিনি বলেন, ‘প্রতি বিঘা জমিতে খরচ হয়েছে ৩০ হাজার টাকা, ফলে লাভ হয় প্রায় ৫০ হাজার টাকা।’ অন্য এক কৃষক আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘৭ বিঘা জমিতে বাঁধাকপি ও ফুলকপি চাষ করেছি, খরচ হয়েছে বিঘা প্রতি ৩০ হাজার টাকা। সাড়ে ৩ বিঘা কপি বিক্রি করেছি ২ লক্ষ ৮০ হাজার টাকায়। বর্তমানে আরও সাড়ে ৩ বিঘা কপি বাজারে আছে, দামের উন্নতি হলে আশা করছেন আরও ভালো লাভ হবে।’ একই এলাকার সামিরুল ইসলাম বলেন, ‘আগে তামাক চাষ করতাম, এখন কপি চাষ বেশ লাভজনক। ২ বিঘা জমিতে কপি লাগিয়েছি, ১ বিঘার বিক্রি হয়েছে ৮০ হাজার টাকায়। শীতকালীন আবাদ তিন মাসের মধ্যে সম্পন্ন হয়, যা খুব ফলপ্রসূ।’ ধর্মদহ গ্রামের ওবাইদুল ইসলাম জানান, তিনি ৩ বিঘা ফুলকপি চাষ করেছেন, যার খরচ প্রায় ১ লক্ষ টাকা। তিনি বলেন, ‘বর্তমান বাজারে বিক্রি করলে বিঘা প্রতি লাভ হবে প্রায় ৩৫ হাজার টাকা।’ দৌলতপুরের কৃষি কর্মকর্তা রেহানা পারভীন বলেন, ‘এ বছর শীতকালীন কপির জন্য লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৪২ হেক্টর জমিতে, তবে বাস্তবায়নে এখন পর্যন্ত হয়েছে ২৬০ হেক্টর। আমাদের কৃষকদের উৎসাহিত করতে সংশ্লিষ্ট পরামর্শ এবং সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে।’ ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, প্রতি বছর এই অঞ্চলে সবজি চাষের পরিমাণ বাড়ছে, আর তাতে কৃষকরা ব্যাপক লাভবান হচ্ছেন।

পোস্টটি শেয়ার করুন