রবিবার, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৫, ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

তেজস বিধ্বস্ত হওয়ার পর পাকিস্তানি যুদ্ধবিমানদের চাহিদা বেড়েছে

দুবাই এয়ার শো-২০২৫-এ শুক্রবার ভারতের যুদ্ধবিমান তেজস বিধ্বস্ত হয়ে এর পাইলট নিহত হন। এই ঘটনার পাশাপাশি পাকিস্তানের জেএফ-১৭ থান্ডার যুদ্ধবিমান বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এর ব্যাপক কদর দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে পাকিস্তান একটি বন্ধুত্বপূর্ণ দেশের সঙ্গে এই হালকা মাল্টিরোল যুদ্ধবিমান বিক্রির জন্য সমঝোতা স্মারক সই করেছে, যা দেশটির প্রতিরক্ষা রপ্তানির ক্ষমতা আরও দৃঢ় করবে। পাকিস্তানের সরকার দুবাই থেকে এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে। তবে, ঠিক কতটি জেএফ-১৭ বিমান বিভিন্ন দেশে বিক্রি করা হবে, সে বিষয়ে এখনো বিস্তারিত ঘোষণা করা হয়নি। তবে পাকিস্তানের কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন যে, আরও কয়েকটি দেশ এই বিমান কিনতে ব্যাপক আগ্রহ প্রকাশ করmış, যা পাকিস্তানের বিমান শিল্পের বৈশ্বিক মর্যাদায় সামান্য উন্নতি নির্দেশ করে। এর আগে, ২০২৪ সালে আজারবাইজান ৪.৬ বিলিয়ন ডলারের খরচে জেএফ-১৭ ব্লক-৩ কেনার জন্য চুক্তি করেছে। একই সময়ে, পাকিস্তান বিমানের অংশ হিসেবে এয়ারশোতে অংশ নেয়ার কথা উল্লেখ করে পাকিস্তান বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল জহির আহমেদ বাবর সিদ্দিকি বিভিন্ন পর্যায়ের বিমানবাহিনী ও সামরিক নেতাদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন। তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের আন্ডারসেক্রেটারি লেফটেন্যান্ট জেনারেল ইব্রাহিম নাসের আল-আলাওয়ি এবং ইউএই-এর এয়ার ফোর্স ও এয়ার ডিফেন্সের কমান্ডার মেজর জেনারেল রাশিদ মোহাম্মদ আল-শামসির সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করেন। বৈঠকে উন্নত প্রশিক্ষণ, এয়ারোস্পেস প্রযুক্তি সহযোগিতা, যৌথ পরিচালনা ও কৌশলগত সমন্বয় শুরু করে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়। এ সময় ইউএই সামরিক নেতৃত্ব পাকিস্তান বিমানবাহিনীর প্রযুক্তিগত অগ্রগতি, পেশাদারিত্ব ও উদ্ভাবনকে প্রশংসা করেন। দুই পক্ষ যৌথ মহড়া, পেশাগত বিনিময় এবং দীর্ঘমেয়াদি কৌশলগত সহযোগিতা আরও জোরদার করার ব্যাপারে একমত হন। দুবাই এয়ার শো-এ জেএফ-১৭ ব্লক-৩ ব্যাপক আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। প্রদর্শনীতে পাকিস্তানের জেএফ-১৭ থান্ডার ব্লক-৩ এবং সুপার মাশশাক প্রশিক্ষণ বিমান দেখানো হয়। বিশেষ করে, আধুনিক অ্যাভিওনিক্স, বাড়তি কৌশলগত সক্ষমতা, উন্নত অস্ত্র সংযোজন ক্ষমতা, শক্তিশালী রাডার ও ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার সিস্টেম এই যুদ্ধবিমানগুলিকে দর্শকদের এবং বিশেষজ্ঞদের চোখে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে। এই প্রশংসা পাকিস্তানের নিজস্ব এয়ারস্পেস সক্ষমতার আন্তর্জাতিক মানের স্বীকৃতি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। জেএফ-১৭ থান্ডার হলো পাকিস্তান ও চীনের যৌথ উদ্ভাবিত হালকা মাল্টিরোল যুদ্ধবিমান। এটি পাকিস্তান বিমানবাহিনীর আধুনিক বহরের মূল ভিত্তি হয়ে উঠেছে, এবং আকাশে লড়াই, ভূমিতে হামলা, নজরদারি—বহুমুখী মিশনে ব্যবহৃত হয়। এর মাধ্যমে পাকিস্তানের বিমানপ্রশিক্ষণ, প্রতিরক্ষা সক্ষমতা ও প্রযুক্তিগত উন্নতি নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে, যা দেশটির সামরিক শক্তির ব্যাপক উন্নতি নির্দেশ করে।

পোস্টটি শেয়ার করুন