শুক্রবার, ২৮শে নভেম্বর, ২০২৫, ১৩ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তিচুক্তির সম্ভাবনায় জ্বালানি তেলের দাম কমছে

আন্তর্জাতিক বাজারে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে সম্ভাব্য শান্তিচুক্তির আশায় জ্বালানি তেলের দামে ব্যাপক পতন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ট্রেডিং ইকোনমিকসের তারা জানিয়েছে, গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের ডব্লিউটিআই অপরিশোধিত তেলের দাম প্রতি ব্যারেল ৫৭.৯৬ ডলার ছিল, যা এক মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এক সপ্তাহে এর দাম মোট ৩.১৯ শতাংশ কমেছে এবং এক মাসে ৫.৪৮ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।

একই সাথে, লন্ডনের ব্রেন্ট অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের মূল্যও নিম্নমুখী। গত সোমবার ব্রেন্ট তেলের দাম প্রতি ব্যারেল ৬২.৩৯ ডলার, যা এক মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এক সপ্তাহে এই তেলের দাম ২.৮২ শতাংশ কমে গেছে এবং এক মাসে ৩.৮৭ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।

বিশ্লেষকদের মতে, ডব্লিউটিআই তেলের দাম টানা চতুর্থ মাস পতনের পথে রয়েছে, যা ২০২৩ সালের পরবর্তী সময়ের সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদি কমতে থাকা।

বিশ্লেষকরা বলছেন, রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে শান্তিচুক্তি হওয়ার প্রত্যাশায় বিনিয়োগকারীরা বাজারে আগ্রহ হারাচ্ছেন। প্রভাবশালী দেশগুলো মনে করছে আক্রান্ত দেশ দুটির মধ্যকার শান্তি আলোচনার বিষয়টি বাজারের দৃষ্টিভঙ্গিকে পরিবর্তন করছে। রাশিয়া বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ জ্বালানি তেল ও গ্যাস রপ্তানিকারক দেশ। মার্কিন ও ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা গত রোববার বলছেন, মার্কিন সমর্থিত প্রস্তাবনায় অগ্রগতি হয়েছে, যা সম্ভাব্য শান্তির পথ প্রশস্ত করছে। জেনেভায় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এটিকে ‘অত্যন্ত মূল্যবান’ এবং ‘অথি সন্তোষজনক’ বলেছেন। তবে ইউরোপীয় মিত্ররা উদ্বিগ্ন, এই শান্তির পরিকল্পনা হয়তো মস্কোর প্রতি অত্যধিক গুরুত্ব দিচ্ছে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, যদি ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে শান্তি হয়, তাহলে রাশিয়া থেকে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞাগুলো শীঘ্রই প্রত্যাহার হতে পারে। ইতোমধ্যে বৈশ্বিক পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, আসন্ন বছরগুলোতে জ্বালানি তেলের সরবরাহ অতিরিক্ত থাকবে, যার ফলস্বরূপ বাজারে সরবরাহ বৃদ্ধির কারণে দাম আর কমতে পারে। এই পরিস্থিতি জ্বালানি তেলের দামের পতনে মূল কারণ হিসেবে কাজ করছে।

পোস্টটি শেয়ার করুন