মঙ্গলবার, ৯ই ডিসেম্বর, ২০২৫, ২৪শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

মূল্যস্ফীতি ও শুল্কের চাপ সত্ত্বেও মার্কিন কেনাকাটা ৯ শতাংশ বেড়েছে

মূল্যস্ফীতি এবং নতুন শুল্কের কারণে কিছুটা চাপ থাকলেও এই বছর চলতি উৎসব মৌসুমে মার্কিন জগতে কেনাকাটা বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। অ্যাডোবি অ্যানালাইটিকসের তথ্য অনুযায়ী, ক্রেতারা অনলাইনে এই সময়ে প্রায় ১ হাজার ১৮০ কোটি ডলার ব্যয় করেছেন, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৯ দশমিক ১ শতাংশ বেশি। তবে অর্থনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, মূল মূল্যস্ফীতি বিবেচনা করলে প্রকৃত বৃদ্ধির হার তার চেয়েও কম হতে পারে।

বিশেষ করে ক্রেতাদের চাপে পড়ে বড় ব্র্যান্ডগুলো এখন চাপে রয়েছে। জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়ার কারণে মার্কিন ক্রেতারা এখন বেশি সচেতন থাকছেন ব্যয় নিয়ে। তারা এমন দোকান খুঁজছেন যেখানে তুলনামূলক কম দামে পণ্য পাওয়া যায়, ফলে অনলাইনে কেনাকাটার প্রবণতা আরও বাড়ছে।

অন্যদিকে, খুচরা বিক্রেতাদের জন্যও এটি চ্যালেঞ্জের সময়। লস অ্যাঞ্জেলেসে রয়্যাল সেন্টারের কর্মীরা ছুটির মৌসুমে অনেক বেশি পার্সেল পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সংস্থাটির ডিস্ট্রিবিউশন অপারেশনের সিনিয়র ম্যানেজার জর্জ ব্যাংকস জানিয়েছেন, ‘প্রতিটি মেশিন ঘণ্টায় প্রায় ১০ হাজার পার্সেল প্রক্রিয়া করতে সক্ষম।’

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই বছর ব্ল্যাক ফ্রাইডে ও তার পরবর্তি উইকএন্ড অন্য যেকোনো বছরের তুলনায় আলাদা। শুল্ক বৃদ্ধির কারণে অনেক ব্র্যান্ড তাদের খরচ হইচই করে ক্রেতাদের ওপর চাপিয়ে দিতে চাইছে, ফলে ক্রেতারা এখন বেশি অনলাইনে ঝুঁকছেন।

অ্যাডোবি অ্যানালিটিকসের তথ্য অনুযায়ী, ব্ল্যাক ফ্রাইডের সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অনলাইনে কেনাকাটা গত বছরের চেয়ে ৯ দশমিক ১ শতাংশ বাড়িয়েছে। এই সময়ে অনেক ক্রেতা এআই চ্যাটবটের মাধ্যমে অফার খুঁজেছেন এবং দামের তুলনামূলক খোঁজে ব্যস্ত থেকেছেন।

ম্যারি এপনার, ফ্যাশন ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির একজন শিক্ষক, বলেছেন, ‘বছরজুড়ে গ্রাহকদের সবচেয়ে বেশি আগ্রহ ছিল কীভাবে ফ্রি গিফট পেতে হবে, ফাইন্যান্সিং অপশন অথবা পরে মূল্য পরিশোধের সুবিধা। এই সব পয়েন্ট ভবিষ্যতের জন্য ক্রেতাদের আকর্ষণে খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।

অর্থনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, মার্কিন ন্যাশনাল রিটেইল ফেডারেশন পূর্বাভাস দিয়েছে, নভেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত বিক্রি ৩.৭ থেকে ৪.২ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে, যা মোট বিক্রির পরিমাণ এক ট্রিলিয়ন ডলার অতিক্রম করতে পারে।

পোস্টটি শেয়ার করুন