রাজধানীর মোহাম্মদপুরে অপ্রত্যাশিত ও নৃশংস মা ও মেয়ের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত গৃহকর্মী আয়েশাকে ঝালকাঠি থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ঘটনা দেশব্যাপী আলোচনার সৃষ্টি করেছে, কারণ হত্যাকাণ্ডের পুরো ঘটনা বেশই গুরুতর এবং অমানবিক। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে নিহত নাফিসার বাবা আজিজুল ইসলাম বাসা থেকে বের হয়েছেন। আধা ঘণ্টা পরে, ষোলো বছরের বিজয়ী তার গৃহকর্মী আয়েশাকে বোরকা পরিহিত অবস্থায় বাসায় প্রবেশ করতে দেখা যায়। হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পর, সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে আয়েশা স্কুলের পোশাক পরে, মুখে মাস্ক দিয়ে এবং কাঁধে স্কুলব্যাগ ঝুলিয়ে স্বাভাবিকভাবেই ভবন ত্যাগ করে। শনিবার নিহত মা ও মেয়ের দেহ নাটোরে দাফন করা হয়। ডিএমপি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, মোহাম্মদপুরের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে পুলিশ ওই হত্যাকাণ্ডের মূল আসামিকে শনাক্ত করে। ফুটেজে দেখা যায়, ঘটনার দিন প্রথমে আয়েশা বাসায় প্রবেশ করে, এরপর বন্দুকের মতো ধারালো অস্ত্র দিয়ে মা ও মেয়েকে আঘাত করে। আহত হওয়ার পর, সে ঘটনাস্থল থেকে বের হয়ে যায়। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধারকৃত আলামত ও ফুটেজ পর্যালোচনায় নিশ্চিত হওয়া যায় যে, আয়েশাই এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্য কারিগর। অভিযোগের মধ্যে রয়েছে, আয়েশার সাথে পাঠানোর সময় তার পরিচয়পত্র বা নম্বর দেখা হয়নি, কারণ সে একাধিক অপ্রমাণ গল্প বলে নিজের পরিচয় গোপন রেখেছে। এছাড়া, ঘটনার একদিন আগে বাসার মূল চাবি হারানোর অভিযোগও উঠেছে। নিহত নাফিসার বাবা বলেন, ‘আয়েশাকে চার দিন আগে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। সে নিজেকে একজন অনাথ বলে পরিচয় দেয়, তবে তার গল্প সন্দেহজনক।’ এখন পুলিশ তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের কাজ underway। এই হত্যাকাণ্ডের পুরো ঘটনা ও আটককৃত গৃহকর্মীর সম্পর্কে বিস্তারিত তদন্ত চলমান রয়েছে।





