জুলাই গণহত্যার দায়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের বিরুদ্ধে আদালত iki অভিযোগে মৃত্যুদণ্ডের সাজা ঘোষণা করে। এর বিরুদ্ধে আজই আপিল বিভাগে উচ্চ আদালতকে জানাতে চান প্রসিকিউশন। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) গাজী এমএইচ তামিম নামে এক প্রসিকিউটর এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার আমৃত্যু কারাদণ্ডের বিপরীতে মৃত্যুদণ্ড চাইতে আজই তারা আপিল করবেন। পরে একটি ব্রিফিংয়ে বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে।
এর আগে, ১৭ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই মামলায় শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানকে একটি অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড আর অন্য একটি অভিযোগে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয়। একইসঙ্গে তাঁদের সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেয় আদালত। প্রসিকিউশন সূত্র জানিয়েছে, তারা রায় হিসেবে দাখিলের পরিপ্রেক্ষিতে এই সাজাগুলোর বিরুদ্ধে আপিলের প্রস্তুতি নিয়েছে। আইন অনুযায়ী, রায় দেওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে এই আপিল দাখিলের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
রায় অনুযায়ী, প্রথম অভিযোগে বলা হয়, ২০২৪ সালের ১৪ জুলাই গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন ভিসি মাকসুদ কামালের সঙ্গে কথোপকথনে শেখ হাসিনা আন্দোলনকারীদের ‘রাজাকার’ আখ্যা দিয়ে উসকানিমূলক বক্তৃতা দেন। এছাড়া, ওই ঘটনায় অংশ নেওয়া লোকজনদের বাধা না দেওয়ায় রংপুরে পুলিশের গুলিতে আবু সাঈদ নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। এসব অপরাধের জন্য শেখ হাসিনা ও কামালকে আমৃত্যু কারাদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়।
অন্যদিকে, দ্বিতীয় অভিযোগে শেখ হাসিনা এবং কামালকে আগেই মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। এই অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, সাবেক মেয়র ফজলে নূর তাপস ও জাসদ সভাপত হাছানুল হক ইনুর সঙ্গে ফোনালাপে শেখ হাসিনা ড্রোন, হেলিকপ্টার ও অস্ত্র ব্যবহার করে হত্যার নির্দেশ দেন। তার ফলস্বরূপ, ৫ আগস্ট চানখারপুলে ছয়জন এবং সাভারের আশুলিয়ায় ছয়জনকে নির্মমভাবে হত্যা করে লাশ পোড়ানোর ঘটনা ঘটে। উল্লেখ্য, এই মামলায় রাজসাক্ষী হিসেবে থাকা সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে উভয় অভিযোগে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে বাজেয়াপ্ত সম্পদ বিতরণের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে আদালত থেকে।





