ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য নির্বাচ 후보 শরিফ ওসমান হাদিকে মৃত্যুপথ থেকে ফিরে আসার ঘটনায় পুলিশ তদন্তের মাধ্যমে জানা গেছে, এই হত্যাচেষ্টার ঘটনা ছিল একটি দীর্ঘ পরিকল্পনার অংশ। তদন্তে উঠে এসেছে যে, হামলার আগের রাতে মূল অভিযুক্ত ফয়সাল ও আলমগীর সাভারের আশুলিয়ায় একটি রিসোর্টে অবস্থান করেছিলেন। সেখানে তাদের সঙ্গে ছিল নারী সঙ্গীসহ নানা বিনোদনের আয়োজন, যা মামলার মাস্টারমাইন্ডরা পরিকল্পনা করেছিলেন। পরেরদিন শুক্রবার সকালে তারা ঢাকায় ফিরে জুমার নামাজের পরে হাদির ওপর গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায়। এই ঘটনায় দায়ের করা মামলাটি পল্টন থানায় এবং বর্তমানে তদন্তের দায়িত্বে রয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
তদন্তের অংশ হিসেবে, গতকাল শুটার ফয়সালের স্ত্রী সামিয়া, শ্যালক শিপু এবং রিসোর্টে থাকা তার বন্ধু মারিয়ার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। এর আগে, হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক আব্দুল হান্নানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। পাশাপাশি, সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ থেকে ফয়সালের ঘনিষ্ঠ সহযোগী কবিরকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। তাকে ভিডিও ফুটেজে হাদির আশেপাশে দেখা গেছে। অন্যদিকে, হামলার জন্য সীমান্ত পার হতে সহায়তা দেওয়ার অভিযোগে শেরপুরের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিজিবি ও পুলিশ কিছুজনকে আটক করেছে, যাদের মধ্যে কিছুজনকে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
এদিকে, আহত হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য গতকাল সোমবার বিকেলে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে Singapore General Hospital এ নেওয়া হয়েছে। সেখানে তাকে ভর্তি করা হয়। বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের যোগাযোগ চলমান রয়েছে, এবং হাদির সুস্থতা কামনায় দেশবাসীর কাছে ক্ষমা ও দোয়া চেয়েছেন তার সহায়ক সায়েদুর রহমান। এই ঘটনায় বাংলাদেশের জনগণ ও সংশ্লিষ্টদের মধ্যে নিরাপত্তা ও আস্থার বিষয়টি গভীরভাবে ভাবাচ্ছে।





