আহমেদাবাদে অনুষ্ঠিত এই বিশাল স্কোরিং টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ভারত দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে জিতেছে ৩০ রানে। এই জয়ের মাধ্যমে তারা সিরিজে ৩-১ ব্যবধানে জয়লাভ করেছে। এই ম্যাচে ভারতের ব্যাটসম্যানরা দারুণ পারফর্ম করেছেন, যা টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে তাদের আধিপত্যের প্রমাণ। এটি ভারতের টানা আটটি দ্বিপাক্ষিক সিরিজ জয় ও টানা ১৪ম সিরিজে অপরাজিত থাকার রেকর্ডও রচনা করেছে।
ম্যাচের শুরু থেকেই ভারত আক্রমণাত্মক খেলার ছক ছিল। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে স্বাগতিকরা ৫ উইকেটে ২৩১ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করায়। দলের হয়ে তিলক বরমা ৪২ বলের মধ্যে ৭৩ রান করে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। হার্দিক পান্ডিয়া তেমনই একটি বিধ্বংসী খেলোয়াড়, যিনি মাত্র ১৬ বলে দ্বিতীয় দ্রুততম ফিফটি তুলে নেন এবং শেষ পর্যন্ত ২৫ বলে ৬৩ রান করে অপরাজিত থাকেন। ওপেনার সাঞ্জু সমসন ৩৭ ও অভিষেক শর্মা ৩৪ রানে দলের সূচনা লাইন ছুঁয়েছেন। সূর্যকুমার যাদব কিছুটা ব্যর্থ হন, বড় স্কোর করতে পারেননি।
জবাবে, দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম ১০ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ১১৮ রান তুলতে সক্ষম হয়। ওপেনার কুইন্টন ডি কক ৩৫ বলে ৬৫ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে যাত্রা শুরু করেন। কিন্তু জসপ্রিত বুমরাহর দুর্দান্ত বলের দৃঢ়তা ম্যাচের মোড় বদলে দেয়। ১১তম ওভারে তিনি ডি কককে আউট করে দলকে চাপমুক্ত করেন। বুমরাহ ৪ ওভারে মাত্র ১৭ রান দিয়ে ২ উইকেট তুলে নেন, যা এই ম্যাচের মূল পার্থক্য গড়ে দেয়। শেষদিকে মার্কো জানসেন ছক্কা হাঁকালেও, বুমরাহর বলেই তাকে ফিরে যেতে হয়। শেষ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস শেষ হয় ৮ উইকেটে ২০১ রানে। ফলে ভারত ৩০ রানে জিতলে সিরিজটি নিজেদের করে নেয়। মাঠ ছাড়ার সময় তারা জয়োল্লাসে ভাসছে। এই দৃঢ় ভরসা ও রোমাঞ্চকর জয়ে ভারত সিরিজে দারুণ সফলতা অর্জন করলেন।





