অ্যাডিলেড ওভালে বিশ্বরেকর্ড গড়ার লোভ ছিল ইংল্যান্ডের, যেখানে জয় ছিল মাত্র কিছু ধাপ দূরে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই স্বপ্ন ভেসে গেল অস্ট্রেলিয়ার শক্তির মুখে। টেস্ট ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রানের টার্গেট নিয়ে মাঠে নামলেও, ইংলিশরা সেই পাহাড়া পারতে পারেনি। তারা ৩৫২ রানে অলআউট হয়ে ৮২ রানে হেরেছে, এর সঙ্গে যোগ হলো সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়া। মাত্র ১১ দিনের মধ্যে সিরিজের ভাগ্য নির্ধারিত হয়ে যাওয়ায় অস্ট্রেলিয়ার দাপটের প্রমাণ মিলল, আর ইংল্যান্ডের জন্য এটি এক অপূরণীয় ব্যর্থতা।
শেষ দিনটি অবশ্য স্বাভাবিক ছিল না। বৃষ্টির কারণে কিছুটা বিরতি নেয়া হলেও, অস্ট্রেলীয় স্পিনার নাথান লায়নের চোটের কথা কিছুটা আশার আলো দেখালেও, মিচেল স্টার্ক ও স্কট বোল্যান্ডের অসাধারণ বোলিংয়ে তা ম্লান হয়ে যায়। জেমি স্মিথ ৬০ এবং উইল জ্যাকস ৪৭ রান করে চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকলেও, শেষ রক্ষা হলো না। এই হারের ফলে অস্ট্রেলিয়ায় ইংল্যান্ডের জয়হীন থাকার রেকর্ড ১৪ বছর ছুঁইছে, যেখানে তারা ১৮ ম্যাচে কোনো জয় করতে পারেনি।
সিরিজের আগেই অধিনায়ক বেন স্টোকস ও কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালামের পরিকল্পনা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হলেও মাঠে তা পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। ভুল দল নির্বাচন, প্রস্তুতির অভাব এবং গুরুত্বপূর্ণ সময় ক্যাচ মিসের জন্য মূল্য চুকিয়েছেন তারা। অন্যদিকে, নিয়মিত অধিনায়ক প্যাট কামিন্স ও জশ হেইজেলউডের অনুপস্থিতিতেও অস্ট্রেলিয়া অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখিয়েছে, যা প্রশংসার দাবিদার। এখন যদি বাকি ম্যাচগুলোতে ঘুরে দাঁড়াতে না পারে, তবে হোয়াইটওয়াশের ভয় ইংল্যান্ডের জন্য বড় এক দুঃস্বপ্ন।





