বৃহস্পতিবার, ২৫শে ডিসেম্বর, ২০২৫, ১০ই পৌষ, ১৪৩২

তারেক রহমান বাসে চড়ে ৩০০ ফুটের পথে ফিরে আসলেন

অবশেষে দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসনের পর অবকাশ পাবার মুহূর্তে এক আবেগঘন ও ঐতিহাসিক ঘটনার মধ্য দিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টা ৩৬ মিনিটে তিনি কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে বিমানবন্দর এলাকা থেকে বেরিয়ে আসেন। তারেক রহমানের এই মহান 순간টি আরও বিশেষ করে তোলে যখন তিনি তার জুতা খুলে খালি পায়ে প্রিয় মাতৃভূমির মাটি স্পর্শ করেন এবং এক মুঠো পাটি হাতে তুলে নেন, যা ছিল তার দেশপ্রেমের প্রতীক। এই দৃশ্য উপস্থিত হাজারো নেতাকর্মীকে আবেগে ভাসিয়ে দেয় এবং তাদের হৃদয় স্পর্শ করে।

বিমানবন্দর থেকে বের হওয়ার আগে তারেক রহমান, তাঁর স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান এবং কন্যা ব্যারিস্টার জাইমা রহমানকে স্বপ্রণোদিতভাবে স্বাগত জানান বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ। উপস্থিত ছিলেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্যরা মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, সালাহউদ্দিন আহমেদ, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুসসহ অন্যান্য জ্যেষ্ঠ নেতারা।

বিমানবন্দর ছাড়ার পর তারেক রহমান একটি বিশেষভাবে তৈরি লাল-সবুজ রঙের বুলেটপ্রুফ বাসে বসে গন্তব্যের দিকে রওনা হন। বিশেষ এই বাসের দুই পাশে শোভা পাচ্ছে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের বিশাল মোড়ক উজ্জ্বল প্রতিকৃতি। বাসের সামনে শোভা পাচ্ছে ‘সবার আগে বাংলাদেশ’ স্লোগান। তিনি বর্তমানে ‘৩৬ জুলাই এক্সপ্রেসওয়ে’ দিয়ে এভারকেয়ার হাসপাতালের উদ্দেশ্যে এগোচ্ছেন।

তারেক রহমানের এই দীর্ঘ অপেক্ষার অবসানকে কেন্দ্র করে বিমানবন্দর প্রাঙ্গণ থেকে শুরু করে সংবর্ধনাস্থল পর্যন্ত লাখো নেতা-কর্মীর ঢল নামে। জাতীয় পতাকা, দলীয় প্রতীক ধানের শীষ, ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড হাতে নেতাকর্মীরা গগনবিদারী স্লোগানে তাঁকে স্বাগত জানান। নির্ধারিত সময় অনুযায়ী, এই বিশাল গণসংবর্ধনায় তিনি সংক্ষিপ্ত ভাষণে অংশ নেন। এরপর তিনি সরাসরি হাসপাতালে যান তাঁর চিকিৎসাধীন মা, bেগম খালেদা জিয়াকে দেখতে। পুরো এলাকাজুড়ে তৈরি হয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলয়। এই মুহূর্তটি বাংলাদেশের দলীয় নেতৃত্বের জন্য ঐতিহাসিক ও আবেগঘন।

পোস্টটি শেয়ার করুন