সোমবার, ২৯শে ডিসেম্বর, ২০২৫, ১৪ই পৌষ, ১৪৩২

তাসনিম জারার পদত্যাগের পর এনসিপির তিন শীর্ষ নেত্রীর রহস্যময় বার্তা

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এর সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারার পদত্যাগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে দাঁড়ানো ঘোষণা দেওয়ার পর থেকেই দলের রাজনৈতিক অঙ্গনে এক অজানা উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এই পরিস্থিতির মধ্যেই দলের আরও তিন পরিচিত ও প্রভাবশালী নারী নেত্রী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের মতামত স্পষ্ট করেছেন এবং নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন। তাঁরা হলেন—দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, যুগ্ম সদস্যসচিব নুসরাত তাবাসসুম এবং আরেক যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. মাহমুদা মিতু। তাঁদের এই সংক্ষিপ্ত কিন্তু অর্থপূর্ণ পোস্টগুলো রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

সামান্তা শারমিন তাঁর ফেসবুক পোস্টে দলীয় আদর্শের প্রতি অবিচল থাকার বার্তা দিয়েছেন, উল্লেখ করেছেন যে, তাঁরা কোনোভাবেই লড়াই থেকে পিছু হটবেন না এবং এই সংগ্রামে Almightyর সাহায্য প্রত্যাশা করেন। অন্যদিকে, নুসরাত তাবাসসুম তাঁর বার্তায় নৈতিকতার গুরুত্ব তুলে ধরে বলেছেন, ‘নীতির চাইতে রাজনীতি বড় নয়’—প্রতিশ্রুতি বা ‘কমিটমেন্ট’ রক্ষাকে তিনি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন। এই বক্তব্যের মাধ্যমে অনেকেই ধারণা করছেন যে, তাসনিম জারার অপ্রত্যাশিত দলত্যাগের সিদ্ধান্তের প্রতি এক ধরনের পরোক্ষ ইঙ্গিত থাকছে।

তবে সবচেয়ে তীব্র ও আক্রমণাত্মক ভাষায় নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ডা. মাহমুদা মিতু। নিখুঁতভাবে তিনি কোনো নাম না উল্লেখ করলেও পশ্চিমা প্রভাবের কড়া সমালোচনা করেছেন। তার বক্তব্যে তিনি স্পষ্ট করেছেন যে, তিনি দেশি ‘পশ্চিমা গং’ দের বিশ্বাস করেন না, বরং যারা প্রকাশ্যে পশ্চিমা স্বার্থের পক্ষে দাঁড়ায়, তাদের চেয়ে অন্তত ছদ্মবেশী বেশি বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে করেন।

নির্বাচনের আগে দলের শীর্ষ নেতাদের এই পাল্টাপাল্টি রসালো মন্তব্য ও ইঙ্গিতপূর্ণ বক্তব্যগুলো দলটির অভ্যন্তরীণ সংকট ও আদর্শিক দ্বন্দ্বের ঘনঘটা আরও স্পষ্ট করে তুলেছে। এই অভ্যন্তরীণ বিভাজন ও মতভেদ কি ভবিষ্যতে দলের সাংগঠনিক শক্তি এবং নির্বাচনী ফলাফলকে প্রভাবিত করবে, তা এখন বড় প্রশ্ন। ভবিষ্যতের নীতিনির্ধারণ ও দলীয় ঐক্য কতটুকু ধরে রাখতে পারবে, সেটা এখন সময় বলছে।

পোস্টটি শেয়ার করুন