মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে (এমসিজি) মাত্র দুই দিনের মধ্যে শেষ হওয়া এই অবিশ্বাস্য ও অদ্ভুত টেস্ট ম্যাচে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়াকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে ইংল্যান্ড। এই ঐতিহাসিক জয়ের ফলে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে চলে আসা জয় খরা কাটছে এবং পাশাপাশি অ্যাশেজ সিরিজে ‘হোয়াইটওয়াশ’ হওয়ার লজ্জাও থেকে রেহাই পেলেন সফরকারীরা। ২০১১ সালের পর এটি প্রথম বার অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ইংল্যান্ডের টেস্ট জয়, যা দেশটিতে টানা ১৮ ম্যাচে জয়ের অপূর্ণতা শেষ করে দিল।
এই ম্যাচটি ক্রিকেটের ইতিহাসে একটি বিরল নজির স্থাপন করেছে। এক সিরিজে মাত্র পঞ্চমবারের মতো, যেখানে একাধিক ম্যাচ মাত্র দুই দিনে শেষ হয়েছে। মেলবোর্নের কঠিন উইকেটে ম্যাচের প্রথম দিনেই দুই দলের ২০টি উইকেট পতনের ঘটনায় নাটকীয়তার সূচনা হয়। দ্বিতীয় দিনে ১৭৫ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমে ইংল্যান্ড মাত্র ৩৩ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে গ্রুপ জয় নিশ্চিত করে।
বিশ্লেষণে দেখা যায়, প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া ১৫২ রানে এবং ইংল্যান্ড ১১০ রানে অলআউট হয়। দ্বিতীয় ইনিংসে অজিরা আবারও বিপদে পড়ে, ব্রাইডন কার্সের বিধ্বংসী বোলিং (৩৪ রানে ৪ উইকেট) এবং অধিনায়ক বেন স্টোকসের (২৪ রানে ৩ উইকেট) দারুণ পারফরমেন্সে মাত্র ১৩২ রানে গুটিয়ে যায়। ট্রাভিস হেড ৪৬ ও স্টিভেন স্মিথ ২৪ রানে অপরাজিত থাকেন।
১৭৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ইংল্যান্ডের ওপেনার জ্যাক ক্রলি ৩৭ ও বেন ডাকেট ৩৪ রান নিয়ে দলকে শক্ত ভিত দেন। এরপর জ্যাকব বেথেল ৪০ রানে গুরুত্বপূর্ণভাবে দলকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে যান। শেষ পর্যন্ত হ্যারি ব্রুকের ব্যাটে জয়ের সুর বাজে। এই জয়ের ফলে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে স্কোরলাইন দাঁড়ায় ৩-১, যেখানে অস্ট্রেলিয়া ইতিমধ্যে সিরিজ জিতেছে। ম্যাচে মোট ৭টি উইকেট লাভ করে জশ টাং ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে নির্বাচিত হন। উইকেটের আচরণ নিয়ে ক্রিকেট মহলে আলোচনার ঝড় উঠলেও, ২০১১ সালের পরে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে এই জয় ইংলিশ সমর্থকদের মাঝে এক নতুন আনন্দের সৃষ্টি করেছে।





