আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে নিজের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় কমিটির দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক মনজিলা ঝুমা। খাগড়াছড়ি-২৯৮ আসনে দলটির মনোনীত প্রার্থী হিসেবে তিনি শপথ করেছিলেন, যেখানে তিনি ‘শাপলা কলি’ প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা ছিল। তবে গত রবিবার দিবাগত রাত ২টা ১৭ মিনিটে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে এক পোস্টে তিনি এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন, ইতোমধ্যেই দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামকে তাঁর এই সিদ্ধান্তের কথা বিস্তারিতভাবে অবহিত করেছেন।
ফেসবুক পোস্টে মনজিলা ঝুমা জানান, ২৪ ডিসেম্বর তিনি খাগড়াছড়ি জেলার দলীয় অঙ্গসংগঠনের মাধ্যমে পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন। আজ সোমবার সেটি জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল। তবে সব পরিস্থিতি বিবেচনা করে, তিনি শেষ মুহূর্তে নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি তরুণ প্রজন্মের প্রতি আস্থা প্রকাশ করে বলেন, দেশের তরুণরা এখন না হয় কাল অবশ্যই সংসদে গিয়ে জনগণের প্রতিনিধিত্ব করবে।
বৈঠক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বাধীন ১০ দলীয় জোটে এনসিপির অংশগ্রহণের সিদ্ধান্তের ফলে দলটির চরিত্রে চরম বিভেদ ও অভ্যন্তরীণ অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। এই জোট গঠনের বিরোধিতা করে চলতি সপ্তাহে এনসিপিতে পদত্যাগের হিড়িক পড়েছে। ইতিমধ্যেই দলটির প্রভাবশালী নেতা ডা. তাসনিম জারা, ডা. তাজনূভা জাবীন, খালেদ সাইফুল্লাহ এবং ফেনী-৩ আসনের মনোনীত প্রার্থী আবুল কাশেম দল ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন। সর্বশেষ, এনসিপির কৃষক উইংয়ের প্রধান সমন্বয়কারী ও মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর নাতি আজাদ খান ভাসানীও নিজের ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে দলত্যাগের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
মনজিলা ঝুমার এই সিদ্ধান্তের পর থেকে এনসিপির নির্বাচনী প্রস্তুতি ও সাংগঠনিক কাঠামো আরও সংকটের মুখে পড়েছে বলে মনে করছেন রাজনীতিবিদরা। নতুন রাজনৈতিক ধারার প্রতিশ্রুতি নিয়ে যাত্রা শুরু করা এই দলের শীর্ষ নেতৃত্বের প্রতি সাধারণ দলীয় নেতাকর্মীদের আস্থা যেন হুমকির মুখে পড়ছে। এতে দলটির ভবিষ্যৎ কীভাবে দাঁড়াবে, তা এখন সাধারণ মানুষের কাছেও উপেক্ষা করতে পারছে না।





