সোমবার, ২৯শে ডিসেম্বর, ২০২৫, ১৪ই পৌষ, ১৪৩২

টানা দুই হারের পরও নতুন দল নোয়াখালী এক্সপ্রেসের প্রতিশ্রুতিদীপ্ত ফিরে আসার আশা

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দ্বাদশ আসরে নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি হিসেবে নিজেকে হাজির করেছিল নোয়াখালী এক্সপ্রেস। তবে প্রথম দুই ম্যাচে হেরে দলের জন্য পরিস্থিতি বেশ কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে পয়েন্ট টেবিলের শেষের দিকে থাকলেও, এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তারা আত্মবিশ্বাস হারায়নি। দলের উইকেটরক্ষক ব্যাটার মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন জানিয়েছেন, তারা দ্রুত এই সংকট কাটিয়ে উঠে শক্তিশালীভাবে ফিরে আসার প্রত্যয় প্রকাশ করেছেন। গত শনিবার সিলেট টাইটান্সের বিপক্ষে এক উইকেটের হারে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

অঙ্কন হারের কারণ বিশ্লেষণে জানিয়েছেন, মাঠের কন্ডিশন এবং কিছু যান্ত্রিক ত্রুটি হারের জন্য দায়ী। তিনি বলেছেন, সিলেটের কন্ডিশনে ইনিংসের প্রথম তিন-চার ওভার জানাতে বেশ কঠিন ছিল কারণ সেখানে বল প্রচুর মুভ করে। অনেক খেলোয়াড় এই কন্ডিশনের সঙ্গে দ্রুত মানিয়ে নিতে পারেননি। এছাড়া, নির্ধারিত সময়ে ওভার শেষ করতে না পারায় ‘স্লো ওভার রেট’-এর কারণে দলের একজন অতিরিক্ত ফিল্ডারকে বৃত্তের ভেতরে আনতে হয়। শিশিরের প্রভাব, বৃত্তের ভেতরে থাকা বাড়তি ফিল্ডার এবং কঠিন পরিবেশ বোলারদের জন্য অতিরিক্ত চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করে।

তবে, এই পরাজয়কে অঙ্কন কেবল ‘দুর্ভাগ্য’ বলে মনে করেন। তিনি বলেন, “ম্যাচের মাঝপথে যখন আমাদের লক্ষ্য ছিল ভালো একটি জুটি তৈরি করা এবং বোলাররা ব্রেকথ্রু দিচ্ছিল, তখন আমাদের বিশ্বাস ছিল জেতা সম্ভব। এক উইকেটের ক্ষীণ হারের জন্য খুব কষ্টের ঘটনা।” তিনি আরও আশাবাদী, যে এক বা দুটি ম্যাচের ফলাফল পুরো দলের প্রতিশ্রুতি বা সামর্থ্য নির্ণয় করছে না। নোয়াখালী এক্সপ্রেসের স্কোয়াডে অনেক মেধাবী ও দক্ষ ক্রিকেটার রয়েছেন, যারা যে কোনও মুহূর্তে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে সক্ষম।

অঙ্কন জানিয়েছেন, দলের টপ অর্ডার ব্যাটাররা কঠোরভাবে কন্ডিশনের সাথে মানিয়ে নিচ্ছেন। তিনি বলেন, “বিপিএলে এমনটা হওয়াটাই স্বাভাবিক। আমরা একসাথে কাজ করে যাচ্ছি এবং আমি নিশ্চিত আমাদের দারুণ প্রত্যাবর্তন হবে।” সমর্থকদেরও অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতে দেখা যায়, তাদের প্রিয় দলের প্রথম জয়ের জন্য। বিশ্লেষকরা মনে করেন, হারানো আত্মবিশ্বাস পুনরুদ্ধার করে ধারাবাহিকতার মাধ্যমে মাঠে ভালো পারফরম্যান্স দেখানোই এখন মূল লক্ষ্য নোয়াখালীর।

পোস্টটি শেয়ার করুন