মঙ্গলবার, ৩০শে ডিসেম্বর, ২০২৫, ১৫ই পৌষ, ১৪৩২

নয়াপল্টনে তারেক রহমানের প্রথম পদচারণা: দেশ গড়ার অঙ্গীকার

দীর্ঘ ১৭ বছর লন্ডনের নির্বাসিত জীবন শেষে আজ তিনি বাংলাদেশে ফিরে আসেন, এরাজ্য কেউ দেখেননি তারেক রহমানের প্রথম আগমনের মুহূর্ত। আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে BNP এর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গিয়েছিলেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তাঁর এই উপস্থিতি। লক্ষ্য করে নেতাকর্মীদের মাঝে আবেগের জোয়ার সৃষ্টি হয়। দেড় যুগের অধিক সময় পর প্রিয় নেতার এই সরাসরি উপস্থিতি উপলক্ষে সকাল থেকে নয়াপল্টনের এলাকাজুড়ে মানুষের ঢল নামে। কেবলই নেতা-নেত্রী নয়, সাধারণ মানুষ শুষ্ক মুখে আনন্দে ভরিয়ে তোলে চারপাশ। দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ—উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম, যুগ্ম-মহাসচিব হাবিবউননবী খান সোহেল, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও কোষাধ্যক্ষ এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত—সহ দলীয় কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন। তিনি নয়াপল্টন কার্যালয়ে পৌঁছে ফুলেল শুভেচ্ছা গ্রহণ করেন এবং উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়। নেতাকর্মীদের উদ্দেশে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি বিশেষ গুরুত্ব দেন সাধারণ মানুষের সুবিধা, শৃঙ্খলা ও চলাচলের ওপর—তিনি বলেন, “আজ এখানে কোনো আনুষ্ঠানিক কর্মসূচি নেই। রাস্তা বন্ধ করলে সাধারণ মানুষের চলাফেরায় অসুবিধা হবে। তাই আমাদের উচিত দ্রুত রাস্তা খুলে দেওয়া, যেন মানুষ নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারে।” এই নির্দেশনার পরে নেতাকর্মীরা বাধ্য হয় রাস্তা ছেড়ে সুশৃঙ্খলভাবে নিজেদের অবস্থান নেয়। তারেক রহমান আরও বলেন, “দেশ গড়ার জন্য সবাই দোয়া করুন। আমরা সকলেই নিজের অবস্থান থেকে দেশকে নতুন করে গড়ে তুলতে চেষ্টা করব।” ভবিষ্যতে যখন কোনো আনুষ্ঠানিক রাজনৈতিক কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে, তখন তিনি বিস্তারিত বক্তব্য রাখবেন বলে ঘোষণা দেন। তাঁর এই দায়িত্বশীল ও স্বচ্ছল উপস্থিতি নেতা-কর্মীদের নতুন প্রাণের সঞ্চার করেছে। উল্লেখ্য, ২৫ ডিসেম্বর লন্ডন থেকে ফেরার পর তিনি নিয়মিত সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নিচ্ছেন। গতকাল তিনি গুলশান কার্যালয়ে দাপ্তরিক কাজ শুরু করেন, এবং আজ নয়াপল্টনের সাংগঠনিক কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে দলের কার্যক্রমে সক্রিয় হয়েছেন। তার এই প্রত্যাবর্তনের ফলে বিএনপির তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত নতুন রাজনৈতিক উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে। মূলত একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর আজ তারেক রহমান নিজে উপস্থিত হয়েছেন এই ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে।

পোস্টটি শেয়ার করুন