মঙ্গলবার, ৩০শে ডিসেম্বর, ২০২৫, ১৫ই পৌষ, ১৪৩২

বস্ত্রকল মালিকদের আরও তিন বছর নগদ সহায়তা চান

বস্ত্রশিল্পের প্রসার ও রপ্তানি বৃদ্ধির লক্ষ্য নিয়ে বস্ত্রকলের মালিকদের সংগঠন বিটিএমএ সরকারের কাছে আবারও অনুরোধ জানিয়েছে, রপ্তানিতে তৈরি হওয়া নগদ সহায়তা অন্তত তিন বছর আরও অব্যাহত রাখতে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর ও অর্থ সচিব মো. খায়েরুজ্জামানের কাছে পৃথক চিঠিতে এই বিষয়টি উল্লেখ করে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণের কথা তুলে ধরা হয়েছে। বিটিএমএর সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল এই চিঠি পাঠিয়েছেন।

চিঠিতে জানানো হয়, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা, বৈদেশিক মুদ্রার বিপরীতে টাকার মান ওরুপ পতন, গ্যাসের দাম প্রায় ২৫০ শতাংশ বৃদ্ধি এবং শ্রমিকের মজুরিতে ব্যাপক বৃদ্ধি হওয়ায় দেশের শিল্পখাতের উপর বড় চাপ সৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি, সাম্প্রতিক সময়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা, শ্রমিকের অসন্তোষ এবং গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহের অভাবে দেশের বিভিন্ন কারখানা তাদের উৎপাদন সক্ষমতার শতভাগও দিতে পারছে না। এসব কারণে বস্ত্রশিল্পের কোম্পানিগুলো আর্থিকভাবে ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে রপ্তানি অগ্রগতি বজায় রাখতে এবং শিল্পের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে নগদ সহায়তার সময়সীমা অন্তত তিন বছর বাড়ানো অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে।

প্রসঙ্গত, উল্লেখ্য, রপ্তানি প্রণোদনার বর্তমান সময়সীমা আগামী ৩১ ডিসেম্বর শেষ হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক গত জুলাই মাসে এই প্রণোদনা কমিয়ে নতুন একটি সার্কুলার জারি করেছিল। সে সময় থেকে রপ্তানিমুখী বস্ত্র খাতে শুল্ক ও ডিউটি ব্যাকের বদলে বিকল্প হিসেবে নগদ সহায়তা ১.৫০ শতাংশ, ইউরো বাজারে রপ্তানিকারকদের জন্য ১.৫০ শতাংশের অতিরিক্ত বিশেষ সততা, ক্ষুদ্র ও মাঝারি পোশাক উৎপাদনকারীদের জন্য ৩ শতাংশ অতিরিক্ত সুবিধা এবং নতুন বাজার বা পণ্য সম্প্রসারণের জন্য ২ শতাংশ সহায়তা চালু করা হয়েছে। এটি আরও জানিয়েছে যে, নতুন বাজারে প্রবেশ ও পণ্য বৈচিত্র্যকরণে উৎসাহিত করতে এই নগদ সহায়তার মেয়াদ আবারো দীর্ঘায়িত করা অপরিহার্য।

পোস্টটি শেয়ার করুন