মঙ্গলবার, ৩০শে ডিসেম্বর, ২০২৫, ১৫ই পৌষ, ১৪৩২

ইউক্রেন আলোচনা ও অজানা সমস্যা এখনও রয়ে গেছে

রাশিয়ার সাথে যুদ্ধ বন্ধের জন্য আলোচনায় অগ্রগতি হলেও কিছু জটিল ও অমীমাংসিত বিষয় এখনও রয়ে গেছে। সম্প্রতি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই বৈঠকের শেষে ট্রাম্প জানান, আলোচনায় অনেক অগ্রগতি হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। তবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে এখনও সমাধান হয়নি, যার মধ্যে ভূমি ইস্যু অন্যতম। ট্রাম্পের দাবি, এই বিষয়ে অমীমাংসিত থাকলেও এগুলো খুব শিগগিরই সমাধান হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। খবর বিবিসির।

জেলেনস্কি জানান, এই আলোচনায় তারা প্রায় ৯০ শতাংশ বিষয়ে একমত হয়েছেন। তিনি আরও বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউক্রেনের দলগুলো আগামী সপ্তাহে আরও আলোচনা চালিয়ে যাবে, যার মূল লক্ষ্য হলো চার বছরের যুদ্ধের সমাপ্তি করা। ইউক্রেনের পক্ষ থেকে বলা হয়, তারা সব বিষয়ের বিস্তারিত আলোচনা করেছে এবং ইউক্রেন-আমেরিকা প্রতিনিধিদলের অগ্রগতি মূল্যায়ন করেছে।

উল্লেখ্য, রাশিয়া ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে পূর্ণ আক্রমণ চালায়। বর্তমানে, মস্কো ইউক্রেনের প্রায় ২০ শতাংশ এলাকা দখল করে রেখেছে। রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে থাকা দনবাস অঞ্চলে এখনও শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। ট্রাম্প জানিয়েছেন, দনবাসকে নিরস্ত্রীকরণের বিষয়ে এখনও কোনো সমাধান হয়নি। বর্তমানে দোনেৎস্কের প্রায় ৭৫ শতাংশ এবং লুহানস্কের প্রায় ৯৯ শতাংশ এলাকা রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে। ইউক্রেনের পক্ষ বলেছে, তারা এই এলাকা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখে একটি মুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করতে চায়।

অতীতে ট্রাম্প বলেন, ইউক্রেনের নিরাপত্তার জন্য ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে। যদিও তিনি স্পষ্ট করেছেন, এই মুহূর্তে কোনও আনুষ্ঠানিক সেনা বা লজিস্টিক সহায়তার কথাও এখনও বলা হয়নি। তিনি মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া-ইউক্রেনের ত্রিপাক্ষিক আলোচনা সময়মতো হতে পারে এবং এটি দেশের জন্য সুবিধাজনক হবে।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে ফোনে আলোচনা করেছেন, যদিও এর বিস্তারিত বর্ণনা দেননি। তিনি শুধু বলেছেন, বিশ্বাস করেন যে, রাশিয়া ইউক্রেনের সফলতা চায়। অন্যদিকে, ইউরোপীয় নেতারা এই আলোচনাকে ইতিবাচক বলে অভিহিত করেছেন। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ও ইউরোপীয় কমিশনের সভাপতি উরসুলা ভন ডার লেইন বলেন, আগামী মাসে প্যারিসে বৈঠক হবে যেখানে নিরাপত্তা নিশ্চিতের বিষয়ে আলোচনা হবে।

এছাড়াও, ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন কর্মকর্তারা।

পোস্টটি শেয়ার করুন