বস্ত্র শিল্পের মালিকরা রপ্তানি প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে সরকারের দেওয়া নগদ সহায়তা আগামী কমপক্ষে তিন বছর অব্যাহত রাখার জন্য জরুরী ভিত্তিতে অনুরোধ জানিয়েছেন। বাংলাদেশ টেকসই ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) পক্ষ থেকে এই দাবি জানানো হয়েছে, তাদের পক্ষ থেকে আলাদা চিঠির মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর ও অর্থ সচিব মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদারের কাছে এই আবেদন পাঠানো হয়। বিডিএমএ সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল এই চিঠিতে উল্লেখ করেন, কেন এটি প্রয়োজন, তা বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয় যে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা, বৈদেশিক মুদ্রার বিপরীতে টাকার মূল্যমানের পতন, গ্যাসের দামের ২৫০ শতাংশ বৃদ্ধি এবং শ্রমিকের মজুরিতে ৭০ শতাংশের বেশি বৃদ্ধির কারণে দেশের শিল্পে স্থবিরতা সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা, শ্রমিকের অসন্তোষ ও গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহের অভাবে উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এসব কারণেই বস্ত্রকলগুলো আর্থিকভাবে মারাত্মক পরিবেশে রয়েছে। তাই এই পরিস্থিতিতে রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য নগদ সহায়তা আরও অন্তত তিন বছর চালু রাখার পক্ষে তারা জোরালো দাবি জানাচ্ছেন।
প্রসঙ্গত, উল্লেখ্য যে, পণ্য রপ্তানিতে যে প্রণোদনার বর্তমান মেয়াদ চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর শেষ হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক গত জুলাই মাসে নতুন সার্কুলার জারি করে এই প্রণোদনা কমিয়ে দেয়। এর ফলে, রপ্তানিমুখী বস্ত্র শিল্পের জন্য শুল্ক, বন্ড ও ডিউটি ড্রের বিকল্প হিসেবে ১.৫০ শতাংশ নগদ সহায়তা চালু রয়েছে। এছাড়া, ইউরো অঞ্চলে রপ্তানিকারকদের জন্য দেড় শতাংশের অতিরিক্ত ৫০ শতাংশ বা ২ শতাংশ বিশেষ নগদ সহায়তা, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য ৩ শতাংশ অতিরিক্ত সুবিধা এবং নতুন বাজার ও পণ্যের জন্য ২ শতাংশ সহায়তা চালু রয়েছে। এই সব সহায়তা বস্ত্র শিল্পের ক্ষেত্রে বিদেশে বাজার সম্প্রসারণ ও রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো।





