বিএনপি চেয়ারপারসন এবং তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে দেশজুড়ে গভীর শোক ও দোয়ার অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিভিন্ন জেলা থেকে প্রতিদিনই প্রকাশিত হচ্ছে শোকের বার্তা এবং স্মৃতিচারণ। নেতাকর্মীরা মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করে কোরআন খতম, দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন চালিয়ে যাচ্ছেন। এই শোক প্রকাশের নানা কর্মসূচি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পালিত হচ্ছে, যা দেশের রাজনৈতিক ও সাধারণ মানুষকে গভীরভাবে উদ্বেলিত করেছে।
ফেনী থেকে জানা গেছে, স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা সোমবার সকাল ৬টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার শেষ নিশ্বাস ত্যাগের খবর জানিয়েছেন। ফেনীর জনপদে শোকের ছায়া নেমে আসে এবং নেতাকর্মীরা জানান, শহর ও গ্রামে গ্রামে তার বিদেহী রুহের মাগফেরাতের জন্য দোয়া ও কোরআন খতমের আয়োজন হয়েছে। তিনি ফেনীর মানুষের কাছেও একজন প্রিয় ও গর্বের ব্যক্তিত্ব ছিলেন। ফেনীর নেতাকর্মীরা বলেন, “ফেনীর মেয়ে খালেদা, গর্ব মোদের আলাদা,” এই স্লোগানটি ছিল তাদের গর্বের প্রতীক। মৃত্যুর পর থেকে স্তব্ধ হয়ে গেছে এই জনপদ। মঙ্গলবারের ব্যস্ততায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
নোয়াখালী থেকেও শোক প্রকাশ করে জানিয়েছেন, উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল, যিনি মরহুমের অবদান ও সাহসের কথা স্মরণ করে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন, এ ছাড়া মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করে শোকজানানো হয়েছে।
মাগুরা, নড়াইল, ঠাকুরগাঁও, চট্টগ্রাম, খুলনা, দিনাজপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, যশোর, জামালপুরসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নেতাকর্মীরা মরহুমের জন্য দোয়া ও শোকসভা, মোনাজাত ও স্মরণসভা করেছেন। এসব কর্মসূচি বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় যেখানে প্রচুর সংখ্যক নেতাকর্মী, সাধারণ মানুষ ও ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরাও অংশ নিয়েছেন। তারা মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করে শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছেন।
প্রতিটি প্রদেশ, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়নে নানা আকারে পালন করা হয়েছে এই শোক ও শ্রদ্ধা নিবেদন অনুষ্ঠান। বিভিন্ন স্থান থেকে অশ্রুসিক্ত স্মৃতি ও মৃত্যুবরণে শোক প্রকাশ করে গভীর দুঃখ ও বেদনা জানানো হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে উপস্থিতি, কালো পতাকা উত্তোলন, দোয়া, মিলাদ মাহফিল ও শোকের পরিবেশ। একদিকে রাজনৈতিক অঙ্গন আর অন্যদিকে সাধারণ মানুষের মধ্যে গভীর শোক ও শোকাহত ব্যাকুলতা প্রকাশ পাচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়, একাডেমী ও বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকেও মরহুমের প্রতি শ্রদ্ধা ও শোক প্রকাশ করা হয়। তারা তার উজ্জ্বল রাজনৈতিক জীবন, সাহসী নেতৃত্ব ও অসাম্প্রদায়িক কাজে অবদান তুলে ধরে মরহুমের জন্য শান্তি কামনা করেছেন। সবকিছু মিলিয়ে এই শোক আঘাত বিশ্বের জন্য এক গভীর ট্রাজেডি বলে মনে করা হচ্ছে।





