শুক্রবার, ২২শে আগস্ট, ২০২৫, ৭ই ভাদ্র, ১৪৩২

প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণা: ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন নিশ্চিত, সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ

প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণা অনুযায়ী, দেশের আগামী নির্বাচন ফেব্রুয়ারির মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে বলে সরকারি رسمي দৃষ্টিতে নিশ্চিত মন্তব্য করেছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মতামত অনেক সময়ই প্রতিফলিত হয়, যা সাধারণত রাজনৈতিক প্রক্রিয়ারই অংশ। তবে ড. আসিফ নজরুল বলেন, নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্পূর্ণরূপে সরকারের দায়িত্ব এবং আমাদের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোন দ্বিধা নেই। তিনি জোরদার করে বলেন, সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে বলছে, আগামী ফেব্রুয়ারিতে দেশের নির্বাচন সম্পন্ন হবে।

উপদেষ্টা আরও বলেন, বর্তমানে রাজনৈতিক দলগুলো বিভিন্ন রাজনৈতিক স্বার্থে আলাদা আলাদা মত প্রকাশ করে। এটি একটি প্রচলিত ব্যাপার, যা দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। তাই আপনারা দেখেন, এসব কথাবার্তা মূলত রাজনৈতিক প্রক্রিয়ারই অংশ। তবে সরকারের পক্ষে থেকে আমাদের স্পষ্ট বার্তা, আমরা এই বিষয়ে খুবই দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণাও এই উদ্যোগের অংশ। তিনি বিশ্বের প্রশংসিত ব্যক্তিত্ব এবং এ ঘোষণা থেকে আমাদের পিছু হটার কিছুই নেই বলেও মন্তব্য করেন।

অতিরিক্তভাবে ড. আসিফ নজরুল জমি অধিগ্রহণ ও পিডিবি সংক্রান্ত বিভিন্ন অপ্রচলিত ও অস্পষ্ট বিষয় নিয়েও আলোচনা করেন। তিনি ব্যাখ্যা করেন, দেশে বিভিন্ন সময় জমি ও প্রকল্পে অতিরিক্ত মূল্য দাবি ও দুর্নীতি হয়, যা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। এই ধরনের দুর্নীতির মোকাবেলায় সরকার কঠোরতা অবলম্বন করছে, বিশেষ করে বিখ্যাত ‘বালিশ কাণ্ড’-এর মতো ঘটনা এড়িয়ে যেতে সর্বোচ্চ সতর্কতা নেওয়া হচ্ছে।

তিনি জানিয়ে দেন, দুর্নীতি দমন কমিশনকে শক্তিশালী করে তারা দুর্নীতির বিরুদ্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছেন। পাশাপাশি, জমির অধিগ্রহণ ও প্রকল্পের ব্যয় নিয়ে যে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠে, সেগুলোর তদন্ত চলমান এবং এ জন্য অভিজ্ঞ কনসালটেন্ট নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

পরিকল্পনা ও অর্থ মন্ত্রণালয় নিয়মনীতির অনুসারে প্রকল্প ব্যয় ও দুর্নীতির বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ করছে, যাতে এই ধরণের অনিয়মের সুযোগ কমে যায়। এইভাবে, সরকার দেশের উন্নয়ন ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

পোস্টটি শেয়ার করুন