বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, যারা জনগণের প্রত্যাশার বিপরীতে প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন (পিআর) পদ্ধতির দাবি করে তারা তাদের উদ্দেশ্য নানা সন্দেহের জন্ম দেয়। তিনি বলেন, এই নির্বাচন ব্যবস্থা বাংলাদেশের জন্য উপযোগী নয়। যারা পিআর চালু করার আহ্বান জানান, তাঁদের মূল উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
গতকাল সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে নীলফামারী জেলা বিএনপির নতুন কমিটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে রিজভী এসব কথা বলেন। তিনি আরও জানান, প্যারালাল ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রশাসন থেকে ‘আওয়ামী ক্যাডার’ ও নেতাকর্মীদের সরানোর দাবি জোরদার করতে হবে।
রিজভী আশ্বাস দেন, ফেব্রুয়ারিতেই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তিনি বলেন, আওয়ামী আমলের অবসম্ভাব্য প্রশাসনিক ব্যর্থতা এড়াতে হলে নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে হলে প্রশাসন থেকে আওয়ামী ক্যাডারদের সরাতে হবে এবং মাঠ পর্যায়ে নিরপেক্ষ কর্মকর্তাদের নিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আসন্ন ডাকসু নির্বাচন নিয়ে তিনি মন্তব্য করেন, যেখানে সব মতের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত হবে, সেই পরিবেশে শিক্ষার গুণগত মান বজায় থাকবে। ছাত্র প্রতিনিধিরা থাকলে শিক্ষাঙ্গনে গণতান্ত্রিক চর্চা টিকিয়ে রাখা সম্ভব বলে তিনি মনে করেন।
নীলফামারীতে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে নিপীড়নের প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, এই জেলা হলো সেই স্থান যেখানে বিগত ১৬ বছর ধরে আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়ে গিয়ে অসংখ্য নেতাকর্মী হত্যা, গুম ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। একজন মন্ত্রীর নির্দেশে পুরো জেলাকে রক্তাক্ত প্রান্তরে পরিণত করা হয়।
তিনি আরো অভিযোগ করেন, শেখ হাসিনা এমন একজন শাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন যিনি যে কেউ কিছু বলতে চাইলে দমনপীড়ন চালান। আওয়ামী লীগ ব্যবসায়ীরা ৪০ হাজার কোটি টাকা এবং তাদের নেতারা লাখো কোটি টাকা দেশের সম্পদ পাচার করেছেন।
রিজভী শেষ করে বলেন, বিএনপি দিনের ভোটে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্ত্বে এককভাবে ঐক্যবদ্ধ। এসময় তিনি আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, নীলফামারী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মীর সেলিম, সদস্য সচিব সাইফুল্লাহ রুবেল, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহারিন ইসলাম চৌধুরী তুহিনসহ অন্যান্য দলের নেতারা।